ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনে যেই ফাঙ্গাসগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক বলে জানিয়েছেন চীনের গবেষকরা। ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনে বহুল ব্যবহৃত একটি উপাদান হলো করডিসেপ মিলিটারিস ফাঙ্গাসে। এই ফাঙ্গাসে দুটি অ্যান্টি ক্যানসার কমপাউন্ড পেয়েছেন গবেষকরা।
করডিসেপ মিলিটারিস ফাঙ্গাসে একটি অ্যান্টি ক্যানসার কমপাউন্ড হলো করডিসেপিন। করডিসেপ মিলিটারিস ফাঙ্গাসে করডিসেপিন এর উপস্থিতি আবিষ্কার করা হয় ১৯৫০ সালে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে পেনটোসটানিন। ১৯৯০ সালের দিকে লিউকেমিয়া এবং ক্যানসারের ওষুধ তৈরিতে এই কমপাউন্ডটি ব্যবহার করা শুরু হয়।
চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব সাইন্সেস এর শাখা সাংহাই ইন্সটিটিউটস ফর বায়োলজিক্যাল সাইন্সের প্ল্যান্ট সাইকোলজি অ্যান্ড ইকোলজির রিসার্চ টিমের হেড ওয়াং চেঙ্গশু বলেছেন, ‘এই প্রথম আমরা ফাঙ্গাসের করডিসেপিনের বায়োসিন্থেসিস মেকানিজম উৎঘাটন করতে পেরেছি। রিসার্চে অপ্রত্যাশিতভাবে পেনটোসটানিন আবিষ্কৃত হয়েছে।’
গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে শরীরে করডিসেপিনের পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে ফাঙ্গাস একটি ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া তৈরি করে। করডিসেপিনের পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া শরীরের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। তবে ওয়াং এটাও বলে দিয়েছেন যে, অতিরিক্ত ফাঙ্গাস গ্রহণও শরীরের জন্য ভালো নয়।
বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল সেল কেমিক্যাল বায়োলজি নামের ওয়েবসাইটে প্রায় ৮ বছর ধরে চালানো এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
করডিসেপ ফাঙ্গি চায়নাতে খুবই জনপ্রিয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শক্তি বাড়াতে অনেকে ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনেই এই ফাঙ্গাস ব্যবহার করা হয়। মিং ডাইনেস্টি’র (১৩৬৮-১৬৪৪) বই ‘ম্যাটেরিয়া মেডিকা’তে এই ফাঙ্গাসের ব্যবহারের কথা সর্বপ্রথম উল্লেখ করা হয়। এই বইটিকে চাইনিজ মেডিসিনের বাইবেল বলা হয়ে থাকে। -চায়না ডেইলি।