চীনে টেক জায়ান্ট আইফোনের বেশিরভাগ মডেল আমদানি ও বিক্রির ওপর প্রাথমিকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রায় দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
আইফোনের বিরুদ্ধে আরেক টেক জায়ান্ট কোয়ালকমের মামলার রায়ে এ সিদ্ধান্ত এলো।
চলমান চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেরই এক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আরেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের চীনের বাজারে মামলার ঘটনায় হতবাক অনেকে। মামলার রায়ে বিস্মিত আরও বেশি।
আইফোনের সর্বশেষ মডেল আইফোন টেনএস, আইফোন টেনএস প্লাস এবং আইফোন টেন আর এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রয়েছে। কেননা কোয়ালকমের মামলা দায়েরের সময় পর্যন্ত এই মডেলগুলো বাজারে আসেনি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের অ্যানালিস্ট ড্যানিয়েল আইভস সিএনএন’কে জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ হওয়া মডেলগুলো বর্তমানে চীনে মোট বিক্রি হওয়া আইফোনের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।
আমেরিকান মাইক্রোচিপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোয়ালকমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত প্রাথমিকভাবে অ্যাপলের বিরুদ্ধে দু’টি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
কোয়ালকমের দাবি, অ্যাপল আইফোন সিক্সএস, আইফোন সিক্সএস প্লাস, আইফোন সেভেন, আইফোন সেভেন প্লাস, আইফোন এইট, আইফোন এইট প্লাস এবং আইফোন টেনে কোয়ালকমের নামে থাকা দু’টো পেটেন্ট লঙ্ঘন করেছে। ওই পেটেন্ট দু’টিতে বর্ণিত প্রযুক্তির মাধ্যমে: ১. একটি ছবির ওপর আরেকটি ছবি বসিয়ে এডিট ও রিসাইজ করা যায়, ২. টাচস্ক্রিন ব্যবহার করে বিভিন্ন অ্যাপ ম্যানেজ করা যায়।
নিষেধাজ্ঞাটি বাস্তবে কতটা সক্রিয় হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে সিএনএন। আদালতের এই রায় জনসমক্ষে সোমবার ঘোষণা করা হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে গত সপ্তাহেই কার্যকর করা হয়েছে।
কিন্তু অ্যাপল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আইফোনের সব মডেলই এখনো পাওয়া যাচ্ছে চীনের বাজারে।
এ ব্যাপারে কোয়ালকমের জেনারেল কাউন্সেল ডন রোজেনবার্গ বিবৃতিতে বলেছেন, যদি অ্যাপল আদালতের আদেশ না মানে, তবে তাদেরকে নির্দেশ মানতে বাধ্য করার জন্য তার প্রতিষ্ঠান চীনের প্রয়োগকারী ট্রাইব্যুনালের সহায়তা নেবে।
অন্যদিকে অ্যাপলের অভিযোগ, নোংরা খেলা খেলছে কোয়ালকম। তারা এমন একটি পেটেন্টের দোহাই দিচ্ছে যা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক আদালতে বাতিল হয়ে গেছে, আর আরেকটি কোয়ালকম কোনোদিন ব্যবহারই করেনি। এ ব্যাপারে তারাও আইনি জবাব দেবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।