কোহিনূর হীরা ভারত থেকে ইংরেজরা চুরি করেনি বরং ১০৫ ক্যারেটের বিশাল এই হীরক খণ্ডটি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে উপহার দিয়েছিলেন পাঞ্জাবের মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের উত্তরাধিকারী দীলিপ সিং। ভারতের সুপ্রিম কোর্টকে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সরকার।
কোহিনূর ফেরত চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্টকে এই তথ্য জানানোর মাধ্যমে কার্যত হীরার ওপর থেকে দাবি ছেড়ে দিলো ভারত।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ভারতের সলিসিটর জেনারেল রণজিৎ কুমার জানান, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় মনে করে, ইংরেজ শাসকেরা ভারত থেকে কোহিনূর চুরি যেমন করেননি, তেমনই লুট করেও নিয়ে যাননি।
ফারসি শব্দ কোহিনূরের বাংলা ‘আলোর পর্বত’। এক আফগান শাসকের কাছ থেকে মহামূল্যবান কোহিনূর লাভ করেন পাঞ্জাবের মহারাজা রঞ্জিত সিং। মহারাজার উত্তরাধিকারী ১৮৪৯ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে এই অমূল্য সম্পদ উপহার দিয়েছিলেন তারই উত্তরাধিকারী দীলিপ সিং।
কোহিনূর ফিরে পাওয়ার মামলাটি করে অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সোশ্যাল জাস্টিস ফ্রন্ট। কোহিনূর, টিপু সুলতানের তরবারি, আংটিসহ প্রাচীন অমূল্য সম্পদ ইংল্যান্ড থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনার দাবিতেই এই মামলা করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে ভারত সরকারের মনোভাব জানতে চাইলে সলিসিটর জেনারেল সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই মনোভাব জানিয়ে বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিমতও এ রকম। যদিও তারা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিমত জানায়নি। ছয় সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত জানানোর নির্দেশ দেওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে সাবধান করে বলেন, ‘ভেবেচিন্তে মতামত দেবেন। কারণ, ভবিষ্যতে আর কোনো দাবি জানানোর উপায় কিন্তু সরকারের থাকবে না।’
অবশ্য তিন বছর আগেই ভারত সফরের সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন কোহিনূর ফেরত দেওয়ার দাবি উড়িয়ে দিয়েছিলেন।