ইংলিশ রাজ্যে দুই ইনিংসে কোহলির একক লড়াই। শেষ ইনিংসে বল হাতে অ্যান্ডারসন, ব্রডদের দলগত আক্রমণ। নাগালে থাকা টার্গেটের পথে ছুটতে যেয়ে ভারত হেরে গেল চতুর্থ দিনে, ৩১ রানে।
জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ১৯৪ রান। দলটি সেখানে করতে পারে ১৬২। প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও কোহলি ছাড়া আর কোনো ভারতীয় দাঁড়াতে পারেননি। এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ১৪৯ রানের ধ্রুপদী ইনিংসের পর শেষ ইনিংসে ৫১ রানের আরেকটি লড়াকু ইনিংস খেলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতকে গুটিয়ে দিতে ইংল্যান্ডের পাঁচ বোলার নিয়ন্ত্রিত বল করেন। অ্যান্ডারসন ১৬ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ২ জনকে ফেরান। ১৪ ওভারে দুই উইকেট নিয়েছেন ব্রড। স্টোকস ১৪.২ ওভারে ৪০ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন কুরান এবং রশীদ।
অথচ চতুর্থ দিন শুরুতে ভারতই এগিয়ে ছিল। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ৮৪ রান দরকার ছিল তাদের। কোহলি ব্যাটিং শুরু করেন ৪৩ রানে অপরাজিত থেকে। স্টোকসের বলে লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হলে ভারত বিপাকে পড়ে। তার আগে ১১২ রানে দলকে রেখে ফেরেন দিনেশ কার্তিক। কোহলি যখন বিদায় নেন তখন ভারতের সংগ্রহ ১৪১।
শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। জয়ের জন্য যখন লড়ছেন, তখন সঙ্গীর অভাবে পড়েন। মোহাম্মদ সামি (০) দ্রুত ফেরার পর ইশান্ত শর্মার সঙ্গে ১৩ রানের জুটি গড়েন। শেষ উইকেটে যাদবকে নিয়ে ৮ রান যোগ করেন। শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভেঙে ইংল্যান্ডকে জয় এনে দেন স্টোকস। ব্যক্তিগত ৩১ রানের মাথায় কুকের হাতে ক্যাচ দেন হার্দিক।
প্রথম দিন টস জিতে ইংল্যান্ড আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। রুটের ৮০ এবং ব্যারিস্টোর ৭০ রানে ভর করে ২৮৭ রানে অলআউট হয় তারা। এই ইনিংসে ভারতের অশ্বিন নেন ৪ উইকেট। সামি ৩টি।
জবাব দিতে নেমে এক কোহলি ছাড়া ভারতের কেউ লড়াই করতে পারেননি। কোহলি ২২৫ বল খেলে ২২টি চার এবং একটি ছয়ে ১৪৯ রান করেন। ভারত গুটিয়ে যায় ২৭৪ রানে।
এই ইনিংসে অ্যান্ডারসন, রশীদ এবং স্টোকস ২টি করে উইকেট নেন। ৪ উইকেট নেন কুরান।
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ইশান্ত শর্মা এবং অশ্বিনের তোপের মুখে পড়ে। লোয়ার অর্ডারে কুরান ৬৩ রানের ইনিংস খেলে লড়াইয়ের সংগ্রহ এনে দেন দলকে। শর্মা নেন ৫ উইকেট। ৩টি পান অশ্বিন। ২টি যাদব।