শ্রীলঙ্কাকে রানের বোঝায় পিষ্ট করার মঞ্চটা আগেরদিনই সাজিয়েছিল ভারত। বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে কেবল সেটির ষোলোকলাই পূর্ণ হল। গল টেস্টে জিততে স্বাগতিকদের এখন ৫৫০ রানের অসম্ভব এক পাহাড় ডিঙাতে হবে।
প্রথম ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ ছিল ৬০০ রান। পরে শ্রীলঙ্কাকে ২৯১ রানে অলআউট করে দিয়ে ৩০৯ রানের লিড নেয় সফরকারীরা। প্রতিপক্ষকে ফলোঅনে না পাঠিয়ে অবশ্য ভারতই ব্যাটিংয়ে নেমে পড়ে। তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৮৯ রানের সংগ্রহ ছিল। ৪৯৮ রানের লিড ছিল তখনই। চতুর্থ দিনে আর কোনও উইকেট না হারিয়ে ইনিংসটাকে ২৪০ রানে টেনে নিয়ে থামার ঘোষণা দেন কোহলি। লঙ্কানদের সামনে সাড়ে পাঁচশর লক্ষ্য আসে তাতেই।
এই পাহাড় টপকাতে পারবে কিনা এমন বিশাল এক যতিচিহ্ন আর প্রশ্ন নিয়েই ইনিংস শুরু করবে লঙ্কানরা। তার আগে ভারতই দারুণ এক কীর্তি গড়ে বসেছে। প্রতিপক্ষকে দেয়া নিজেদের সবচেয়ে বড় টেস্ট লক্ষ্যের দ্বিতীয় স্থানটি তারা নতুন করে লিখেছে। আগে ২০০৮-০৯এ ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডকে দেয়া ৬১৭ রানের লক্ষ্যটাই কেবল ওপরে।
সেটা গড়ার পথে আরেকবার অনবদ্য ছিলেন কোহলি। শনিবার সকালে ৭৬ রানে থেকে ক্রিজে এসেছিলেন। ভারত অধিনায়ক অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছেন। মাঝে তুলে নিয়েছেন নিজের ১৭তম টেস্ট সেঞ্চুরি। হার না মানা ১০৩ রানের ইনিংসটি ১৩৬ বল আর ৫ চার এক ছয়ে সাজানো। কোহলির টেস্ট ব্যাটিং গড়ও এখন ৫০-এর ওপরে!
আজিঙ্কা রাহানে তাকে সঙ্গ দিয়ে অপরাজিত ছিলেন ২৩ রানে। আগেরদিন অভিনব মুকুন্দকে (৮১) নিয়ে ১৩৩ রানের জুটি গড়ে পথ এগিয়েছিলেন কোহলি।
হাতে প্রায় দুটো দিন। শ্রীলঙ্কা চাইলে ধীরে এগোতে পারে। কিন্তু স্পিন ধরে বসা ভাঙা পিচে অশ্বিন-জাদেজাদের সামনে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে পঞ্চম দিনে ম্যাচ টেনে নেয়াই এখন আসল চ্যালেঞ্জ হবে তাদের জন্য। যেখানে ক্রিকেটীয় বাস্তবতা কিংবা ইতিহাস, কোনটাকেই সঙ্গে পাবে না তারা। কিছুদিন আগে জিম্বাবুয়ের দেয়া পৌনে চারশোর লক্ষ্য টপকে যে অসম্ভব সাধন করেছিলেন লঙ্কান সিংহরা, সেটি থেকে অবশ্য লড়াইয়ের আত্মবিশ্বাস নিতে পারেন ম্যাথুজ-থারাঙ্গারা। যদিও জিম্বাবুয়ে দলে খেলেননি সামি-যাদব অশ্বিন-জাদেজার মত প্রতিপক্ষ!