দিন যাচ্ছে, কোহলি ছুটছেন। ইংল্যান্ড সফরে সেই ছোটা অব্যাহত থাকলেও টেস্টে জয়ের দেখা পাচ্ছিল না ভারত। অবশেষে তৃতীয় টেস্টে এসেছে সেটি। ভারত জিতেছে ২০৩ রানের ব্যবধানে।
কোহলি এই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৯৭ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে থামেন ১০৩ রানে। সফরের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে করেছিলেন ১৪৯ ও ৫১ রান। দ্বিতীয় টেস্টে একটু মলিন ছিলেন, ২৩ ও ১৭।
তৃতীয় ম্যাচের পর পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকল ইংল্যান্ড।
শেষদিন ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২১০ রান। হাতে ছিল কেবল এক উইকেট। দিনের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে অশ্বিন সেই উইকেটটি তুলে নেন। লেগব্রেকের ঝলকানিতে অ্যান্ডারসন ঠিকমতো ব্যাট দিতে না পারলে ক্যাচ চলে যায় প্রথম স্লিপে রাহানের হাতে।
ভারত এই নিয়ে ইংল্যান্ডে মাত্র সপ্তম টেস্ট ম্যাচ জয়ের নজির গড়ল।
ভারত প্রথমে ব্যাট করে কোহলি এবং রাহানের ব্যাটে ৩২৯ রান সংগ্রহ করে। কোহলি ১৫২ বলে খেলেন ৯৭ রানের ইনিংস। রাহানে ১৩১ বলে করেন ৮১।
তিনটি করে উইকেট নেন অ্যান্ডারসন, ব্রড এবং ওকস। জবাব দিতে নেমে হার্দিক পান্ডিয়ার তোপের মুখে উড়ে যায় ইংল্যান্ড। ৩৮.২ ওভার ব্যাট করে দলটি গুটিয়ে যায় ১৬১ রানে। হার্দিক ছয় ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা এবং বুমরাহ।
দ্বিতীয় ইনিংসে আবার জ্বলে ওঠেন কোহলি। ১৯৭ বলে ১০৩ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেন। তাকে বেশ সঙ্গ দেন পূজারা। ২০৮ বলে ৭২ রান করে ফেরেন তিনি। শেষ দিকে হার্দিক ৫২ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ভারত সাত উইকেটে ৩৫২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করলে ইংল্যান্ডের টার্গেট দাঁড়ায় ৫২১।
এই ইনিংসে আদিল রশিদ নেন তিন উইকেট। দুটি উইকেট নেন স্টোকস। একটি করে অ্যান্ডারসন এবং ওকস।
ইংল্যান্ড জবাব দিতে নেমে ৩১৭ রান পর্যন্ত যায়। বাটলার (১০৬) সেঞ্চুরি তুলেও দলের বড় পরাজয় এড়াতে পারেননি। স্টোকস ১৮৭ বলে করেন ৬২।
বুমরাহ নেন পাঁচ উইকেট। দুই উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা। এই ইনিংসে হার্দিক নেন এক উইকেট। অশ্বিন এবং মোহাম্মদ সামিও পান একটি করে উইকেট।