ক্রিজে যখন এলেন, তখন ৮১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে একশর আশেপাশে কাঁটা পড়ার শঙ্কায় ভারত! তখনই আবার ফিরলেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহাও। মান বাঁচাতে এরপর একাই কোমড়বেঁধে নেমে পড়লেন হার্দিক পান্ডিয়া। পেসারদের স্বর্গরাজ্যে কোহলি-রোহিত-ধাওয়ানদের কীভাবে ব্যাট করতে হত, সেটাই যেন শেখালেন এ পেস-অলরাউন্ডার।
পরে নিউল্যান্ডসে মাত্র ৭ রানের জন্য নিজের দ্বিতীয় শতক হাতছাড়া করলেও দলকে ২০৯ রানের সম্মানজনক স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন পান্ডিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসের পাওয়া ৭৭ রানের লিডটাকে দুই উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান পর্যন্ত টেনে নিয়েছে প্রোটিয়ারা।
প্রথম দিনের শেষভাগে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত দ্বিতীয় দিনের শুরুর ভাগেই পড়েছে বিপদে। শূন্য রানে দিন শুরু করা রোহিত শর্মা সাজঘরে ফেরেন ১১ রান করে। ছয় উইকেট হাতে নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া সফরকারীদের দ্বিতীয় সেশনের পানি পান বিরতির আগেই নেই ৭ উইকেট।
সেখান থেকেই হাল ধরেন পান্ডিয়া, সঙ্গী হিসেবে পান ভুবেনেশ্বর কুমারকে। অষ্টম উইকেট জুটিতে দুজন তুলেছেন ৯২ রান, ভুবেনেশ্বরের অবদান ৮৬ বলে ২৫! আর পান্ডিয়া খেলেছেন নিজের মেজাজে। ৯৫ বলে ৯৩ রানের ইনিংসটিতে চার হাঁকিয়েছেন ১৪টি, ছক্কার মারও ছিল একটি।
নিজেদের পছন্দ মতো উইকেটের ফায়দা নিতে ভোলেননি প্রোটিয়া বোলাররা। ভারতের ১০ উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন চার পেসার ভারনন ফিনল্যান্ডার, ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল ও কাগিসো রাবাদা। সমান ৩টি করে উইকেট শিকার ফিনল্যান্ডার ও রাবাদার।
২০১৬’র নভেম্বরের পর প্রথম টেস্ট খেলতে নামা স্টেইন মনে করিয়ে দিয়েছেন নিজের অতীতের দিনগুলো। বিশেষ করে দারুণ ইনসুইঙ্গারে ঋদ্ধিমান সাহাকে যেভাবে বোকা বানিয়ে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেললেন, সেটির তুলনা করা হচ্ছে গত ডিসেম্বরে অজি পেসার মিচেল স্টার্কের শতাব্দীর সেরা বলটির সঙ্গেই।
৭৭ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার এডেন মার্করাম ও ডিন এলগারকে হারিয়েছে সাউথ আফ্রিকা। দুজনেই শিকার পান্ডিয়ার। ২ রান করা নাইটওয়াচম্যান রাবাদাকে নিয়ে ৪ রানে তৃতীয় দিন শুরু করবেন হাশিম আমলা।