রবি শাস্ত্রী চাকরি বাঁচিয়েছেন। থেকে গেছেন ভারত জাতীয় দলের কোচ হিসেবে। তার মতো ভাগ্য প্রসন্ন হয়নি ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের। যাকে সরিয়ে কোহলি-রোহিতদের ব্যাটিং গুরু হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিক্রম রাঠোরকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব একটা পরিচিত মুখ নন রাঠোর। জাতীয় দলে খেলেছেন মাত্র ৬ টেস্ট ও ৭ ওয়ানডে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ ক্রিকেটার। পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশের হয়ে ১৪৬ ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে করেছেন ১১ হাজার ৪৭৩ রান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্বল্প অভিজ্ঞতা থাকলেও রাঠোরের ব্যাটিং কোচ হতে সমস্যা হয়নি। কারণ সদ্য সাবেক হয়ে যাওয়া কোচ বাঙ্গারের দায়িত্ব নিয়ে খুশি ছিল না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রাঠোরের মতো বাঙ্গারের নিজেরও খুব একটা আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ছিল না। তার দায়িত্বের ৫ বছরে বেশ অস্থির এক সময় পার করেছে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। এককভাবে ব্যাটসম্যানরা সাফল্য পেলেও দলীয় ভাবে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার ছিল বেশ অগোছালো।
বাঙ্গারের বিপক্ষে গিয়েছে শেষ কয়েকবছরে ব্যাটসম্যানদের ফর্মের অবনতি ও ঘনঘন লাইনআপ ওলটপালটের মনোভাব। কোহলি ও চেতেশ্বর পূজারা ছাড়া বাকিদের সবাই কম-বেশি ফর্মহীনতায় ভুগেছেন। ওয়ানডেতে চার নম্বর পজিশন নিয়ে অস্থিরতা কমেনি বরং বেড়েছে। যে রোগে ভীষণরকম ভুগে বিশ্বকাপের সেমি থেকেই বাদ পড়েছে ভারত।
বাঙ্গারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। তার বিরুদ্ধে দলের সিদ্ধান্তে এককভাবে প্রভাব বিস্তার করতে চাওয়ার অভিযোগও উঠেছে। অনেকসময় পাল্টে দিতেন দলীয় সিদ্ধান্তও। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে মহেন্দ্র সিং ধোনির আগে হার্দিক পান্ডিয়া কেনো নামলেন তা নিয়ে আছে বিস্তর সমালোচনা। সেই সিদ্ধান্তের পেছনে নাকি বাঙ্গারের ভূমিকা ছিল বেশি!
এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের প্রকাশিত পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে ছিলেন রাঠোর। দুইয়ে ছিলেন বাঙ্গার, তিনে ইংল্যান্ডের মার্ক রামপ্রকাশ। হেড কোচ শাস্ত্রীর পাশাপাশি চাকরি বাঁচিয়েছেন বোলিং কোচ ভরত অরুণ ও ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরও। অরুণের হাত ধরে বিশ্বের সেরা বোলিং লাইন আপের একটি হয়েছে ভারত। ফিল্ডিংয়েও তাই। তাই দুই কোচের ভূমিকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই বোর্ডের। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, ভারতীয় ফিল্ডিং কোচের সেরা তিনের তালিকায় ছিলেন না বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফিল্ডারদের একজন জন্টি রোডস!