ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন ও উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে কোম্পানি আইনের সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
বৃহস্পতিবার ঢাকা চেম্বারে আয়োজিত ‘বেসরকারি খাতের উন্নয়নে কোম্পানি আইনের সংস্কার’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় ডিসিসিআইর সভাপতি আবুল কাসেম খান এই প্রস্তাব করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
আবুল কাসেম খান বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাকে বেগবান করা ও নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালার সংস্কার জরুরি। ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় হ্রাস, মানবসম্পদ ও প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো উন্নয়নে এর কোনও বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে ব্যবসা পরিচালনায় সহজাত পরিবেশ তৈরির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য নতুন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত জটিলতা এবং বিভিন্ন ধরনের ফি বা চার্জ কমাতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘কোম্পানি আইন প্রণয়ন ও চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে সরকার সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে।’ নতুন এ আইনে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে বলেও মনে করেন তিনি।
বর্তমান সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ অর্থনীতির সূচকে উল্লেখজনক অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে এমএ মান্নান বলেন, ‘ডুইং বিজনেস ক্যাটাগরি সহ বেশ কিছু সূচকে পিছিয়ে পড়ছে, যা কিনা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় এবং এধরনের সূচকগুলোতে অগ্রগতি অর্জনে তিনি সব পক্ষের একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।’
বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু বলেন, ‘কোম্পানি আইনটি এ উপমহাদেশে প্রথম প্রণয়ন করা হয়েছিল ১৯৩০ সালে, যেটির প্রথম সংস্কার করা হয় ১৯৯৪ সালে। ব্যবসায়ী সমাজের প্রয়োজন ও অর্থনীতির সামগ্রিক কল্যাণের লক্ষ্যে বর্তমানে এটির সংস্কার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
নির্ধারিত আলোচনায় বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সিনিয়র ইকোনোমিস্ট ড. এম মাশরুর রিয়াজ, আইসিএবির সাবেক সভাপতি আদিব এইচ খান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির ইজাজ বিজয় ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট-এর অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার রশনা ইমাম সক্রিয় অংশ নেন।
মূল প্রবন্ধে ডিসিসিআই’র সমন্বয়কারী পরিচালক নূহের লতিফ খান বলেন, ‘কোম্পানি আইনের সংস্কারের বিষয়টি এখন সময়ের দাবি। তিনি ব্যবসায়িক বিরোধ নিষ্পত্তিতে আইন প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা লাঘবের জন্য হাইকোর্টে দুই বা ততধিক অধিক বেঞ্চ গঠনের প্রস্তাব করেন।’