ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে ভ্রমণের জন্য অনুমোদিত ভ্যাকসিনের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে তীব্র সমালোচনায় পড়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। ভারত বা বাংলাদেশে যারা দুই ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন পেয়েছেন, ব্রিটেন তাদেরকে পূর্ণ ভ্যাকসিনপ্রাপ্ত হিসেবে স্বীকার না-করায় নতুন বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় ভারতের বানানো কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিনটি যারা নিয়েছেন, ব্রিটেন তাদের ভ্যাকসিন নেয়া হয়নি বলে গণ্য করার ঘোষণা দেয়।
জানানো হয়, এমন ব্যক্তিরা ব্রিটেন গেলে ১০ দিন কোয়োরেন্টাইনে থাকতে হবে। নিজেদের অনুমোদিত ভ্যাকসিনে নিজেরাই বিধিনিষেধ আরোপ করে তীব্র সমালোচনায় পড়ে ব্রিটেন।
ভারতে শশী থারুর, জয়রাম রমেশের মতো সিনিয়র কংগ্রেস নেতারা প্রকাশ্যেই অভিযোগ করছেন, যুক্তরাজ্যের এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত ‘বর্ণবাদ’ ছাড়া কিছুই নয়। তবে সোমবার যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, বিষয়টি সমাধানে তারা ভারত সরকারের সাথে একযোগে কাজ করছে।
ব্রিটেনের অত্যন্ত জটিল ও বিতর্কিত ‘ট্র্যাফিক লাইট ট্র্যাভেল সিস্টেম’, অর্থাৎ বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে আসার ক্ষেত্রে যে সব আলাদা আলাদা নিয়মকানুন তা আগামী ৪ অক্টোবর থেকে মানতে হবে। ব্রিটেনের নতুন নিয়মে ভারতীয় ও বাংলাদেশি কোভিশিল্ড-প্রাপ্তরা ‘পূর্ণ ভ্যাকসিনপ্রাপ্ত’ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন না।
তাছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনে যারা ভ্যাকসিনের ডোজ পূর্ণ করেছেন নভেম্বর থেকে তাদের ভ্রমণে করোনার সবরকম বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে দেড় বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সমাপ্তি হবে।