বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘করোনায় চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে জাপান চীন থেকে তাদের বিনিয়োগ অন্য দেশে স্থানান্তরের কথা বলছে। এতে বাংলাদেশের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
‘এ জন্য বাংলাদেশকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বাণিজ্য সহজিকরণ এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ সুবিধা বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে।’
বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে “বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির” ৭ম সভায় সভাপতিত্ব করে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক প্রমুখ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরবর্তীতে বিশ্ববাণিজ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এই সুবিধা নেয়ার সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের। বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের নতুন স্থান সন্ধান করছে। ইতোমধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিশ্বের অনেক দেশ ও প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের তালিকা তৈরি করে তাদের কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগ নীতি এবং সুযোগ সুবিধাগুলো তুলে ধরতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। তাই জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দু’টি খাত একটি রপ্তানি অপরটি রেমিটেন্স। চলমান পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ক্রয় আদেশ বাতিল না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। অনেক দেশ ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ক্রয় আদেশ বাতিল করবে না।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের যাতে থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার কোন সমস্যা না হয়, সেজন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো। সময়পযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আসবে এবং রপ্তানিও অনেক বাড়বে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে শিল্প কলকারখানা স্থাপনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ বান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। এসব বিনিয়োগ পলিসি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জানাতে হবে। আমরা সবধরনের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত। দেশে বিশল্প কারখানা গড়ে উঠলে কর্মসংস্থান বাড়বে।
সালমান এফ রহমান বলেন, বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে। সময় নষ্ট না করে এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। দ্রুত তালিকা তৈরি করে বিনিয়োগকারীদের সাথে যোগযোগ করে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পলিসি, সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা তুলে ধরতে হবে। প্রয়োজনে এজন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা যেতে পারে।