বিশ্বজুড়ে সংক্রমণের হার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে করোনাভাইরাসের বারবার রূপ পরিবর্তন ও নতুন ধরন বা মিউটেন্টকে দায়ী করছেন যুক্তরাষ্ট্রের লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির এক দল গবেষক। ।সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কোভিডের নতুন ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য খুঁজছে বিজ্ঞানীরা।
তারা দাবি করেছেন, ২০১৯ সালে ডিসেম্বরে প্রথম কোভিড-১৯ এর যে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পরে এর রূপান্তরিত ধরন নিয়ে সন্দেহ ছিল, কিন্তু এই ভাইরাস যে এত দ্রুত তার রূপ পরিবর্তন করে আরও সংক্রমণ করবে সেটা ছিল কাকতালীয়।
প্রায় ১১ মাস পর একটি দল আবিষ্কার করেছে যে ডি 614 জি মিউটেশনের সাথে বৈকল্পিক এসআরই -2 রিসেপ্টারে এসআরএস-কোভি -2 এর জন্য একটি অতিরিক্ত ক্লিভেজ সাইট চালু করেছে। ভাইরাস কোষে প্রবেশ করতে তা সাহায্য করে।
যা পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলের মতো দেশগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পরে।
ইতিমধ্যে, নতুন পরিবর্তনগুলি ক্রমবর্ধমান তাদের রূপ পরিবর্তন করছে, তা অনুসন্ধানে হন্য হয়ে কাজ করছে জীববিজ্ঞানীরা। করোনার মিউটেন্টের জিনোম আবিষ্কারে।
দ্রুত কোভিডের এমন রূপগুলি সনাক্ত করা যাতে এ রোগের বিপরীতে ভ্যাকসিন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এটা নিয়ে কাজ করছে জীববিজ্ঞানীরা। সার্স-কোভ-টু ভাইরাসটি সাধারণ সর্দি-কাশির মতো একমাত্র উপদ্রব হয়ে উঠতে পারে।শুধু ইনফ্লুয়েঞ্জার বিপরীতে কোন বুস্টার শট যাতে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন গবেষক দল।
বিবিসির স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানবিষয়ক প্রতিনিধি জেমস গেলাগহের এক বিশ্লেষণে জানা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে করোনাভাইরাসের নতুন এই স্ট্রেইনটি শনাক্ত হয়। নভেম্বর মাসে লন্ডনের এক–চতুর্থাংশ বাসিন্দা নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে এসে সংক্রমিতের এই সংখ্যা বেড়ে দুই-তৃতীয়াংশ হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়াতেও করোনার নতুন এই ধরনে সংক্রমিত রোগী পাওয়া গেছে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন দ্রুত অন্য ধরনকে প্রভাবিত করছে। এ কারণে ভাইরাসটির নতুন ধরন সহজ ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ বিষয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিয়ন্ত্রণ করা গেলে নতুন ধরনটি সাধারণ হয়ে উঠতে পারে।
এই নতুন ধরটি উচ্চমাত্রায় রূপান্তরিত। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি সক্রিয় হতে পারে।