ন্যু ক্যাম্পে অ্যাটলেটিকো বিলবাওয়ের বিপক্ষে ৩-১ গোলের প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। এ জয়ে কোপা দেল রের শেষ চারে পৌঁছে গেলো আগের আসরের চ্যাম্পিয়নরা। বার্সেলোনার পক্ষে গোল তিনটি করেন নেইমার, সুয়ারেজ এবং জেরার্ড পিকে। বিলবাওয়ের পক্ষে সান্ত্বনা সূচক গোলটি আসে উইলিয়াস’র পা থেকে।
তবে খেলার ১২ মিনিটেই গোল করে কাতালানদের ভগড়ে দিয়েছিলো বিলবাও। এরপর ৫৩ মিনিট পর্যন্ত গোলবঞ্চিত বার্সা শিবিরে অঘটনের শঙ্কাও ভর করে।
এ ম্যাচে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে সেরা একাদশই খেলিয়েছেন এনরিকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুরো স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে ১২ মিনিটে এগিয়ে যায় বিলবাও।
মাঝ মাঠ থেকে স্পেনিশ ফরোয়ার্ড আদুরিসের বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে যান তারই স্বদেশি ইনাকি উইলিয়ামস। বল ঠেকাতে বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগান এগিয়ে এলে তার হাত গলে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান উইলিয়ামস। ১-০ গোলের লিড পায় বিলবাও।
এরপর কোন দল আর গোল না পেলেও প্রথমার্ধের শেষ ভাগে বেশ কয়েকেটি গোছালো আক্রমণ ছিলো কাতালানদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। ৫২ মিনিটে বার্সাকে সমতায় ফেরান সুয়ারেজ। লিওনেল মেসির আড়াআড়ি পাসে প্রথম শটেই লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
৮১ মিনিটে দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন পিকে। কর্নার থেকে বল পেয়ে দানি আলভেজ ফ্লিক করলে হেড থেকে গোল আদায় করে নেন এ ডিফেন্ডার। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ান নেইমার। বিলবাও দুই ডিফেন্ডারের বাধা গলে জোরালো শটে গোল তুলে নেন এ ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সেনসেশন। তবে পুরো ৯০ মিনিট মাঠে থাকলেও গোল পাননি মেসি।
দুই লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনার জয় ৫-২ গোলে। প্রথম পর্বে তার জিতে ছিলো ২-১ গোলের ব্যবধানে।