মুখ ভর্তি খোঁচা খোঁচা দাঁড়িতে অনেকেই অবাক হয়েছেন লিওনেল মেসিকে দেখে। বাঁ হাতে করিয়েছেন নতুন ট্যাটুও। সব মিলিয়ে দারুণ স্টাইলিস্ট লিও।
এবারের শতবর্ষী কোপায় বদলী হিসেবে নেমে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন পাঁচ বারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়।
ম্যাচের শুরু থেকেই ডাগ আউটে মেসি, গোলের সুযোগ সতীর্থরা কাজে লাগাতে পারছে না। পানামাকে নিয়েও কিছুটা উদ্বেগ ছিলো আর্জেন্টাইনদের।
দ্বিতীয়ার্ধে মেসি যখন মাঠের বাইরে হালকা ওয়ার্ম আপ করছে, শিকাগোর মাঠ তখন মেসি ধ্বনিতে মুখোরিত।
অবশেষে ম্যাচের ৬১ মিনিটে মাঠে নামলেন মেসি।
তার জাদুকরী মন্ত্রে পুরো মাঠ গ্রাস করে নিল মাত্র মিনিট চারেকের মধ্যে। এর পরের গল্পটা শুধুই মেসিময়।
৬৮ মিনিটে মেসির পা থেকে আসে প্রথম গোল। ডি বক্সের ভিতরে হিগুয়েনের শট ফেরত পাঠান মিলার। অবশ্য তার হাতে লেগে বল ফেরত আসে মেসির পায়ে। বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে কোনো সমস্যা হয়নি এ যাদুকরের।
৭৮ মিনিটে মেসিকে ডি বক্সের বাইরে ফেলে দেন লেডেসমা। ২৫ গজ দূর থেকে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। বাঁ পায়ের যাদুকর হাওয়ায় ভাসিয়ে বল পানামার জালে জড়ান লিওনেল মেসি।
৮৭ মিনিটে পানামা শিবিরে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়ে মেসি নিজের হ্যাটট্রিক আদায় করে নেন। রোজোর বাড়ানো পাসে ডি বক্সের ভিতরে বল পান মেসি। দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে আবারও বাঁ পায়ে শট নিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এ ফরোয়ার্ড।