টুর্নামেন্টে তিনি মাত্র একটি গোল করেছেন। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে সেটাও পেনাল্টি থেকে। তবে শুধু গোল বা অ্যাসিস্টের বাইরে বিচার করলে কোপা আমেরিকার সদ্যশেষ টুর্নামেন্ট মেসির জন্য ভিন্ন কথাই বলছে। আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি শট নিয়েছেন। বেশি পাস বাড়িয়েছেন, সবচেয়ে বেশি ফ্রি-কিক আদায় করেছেন এবং সবচেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করেছেন।
চার ম্যাচে মেসি মোট ২০টি ক্লিয়ার পাস দিয়েছেন। গোলে শট নিয়েছেন ১৬টি। ফ্রি-কিক আদায় করেন ১৫টি এবং সর্বোচ্চ নয়টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন। এরপরও কোপা আমেরিকার সেরা একাদশে জায়গা পাননি তিনি। বৃহস্পতিবার লাতিন আমেরিকান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা কনমেবল ঘোষিত দলে নাম নেই ‘এলএম টেনের’।
২০১৫ এবং ২০১৬ কোপার সেরা একাদশে ছিলেন মেসি। তবে আর্জেন্টিনা থেকে একজন জায়গা পেয়েছেন এবার। তিনি লিওনার্দো পারাদেস।
সেরা ১১ জনের পাঁচজন চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের। রানার্সআপ পেরু থেকে আছেন দুজন। এছাড়া আর্জেন্টিনা, পেরু, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে ও চিলি থেকে জায়গা পেয়েছেন একজন করে খেলোয়াড়।
ফাইনালে পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়ে নবমবারের মতো কোপার শিরোপা জেতে ব্রাজিল। আসরে চিলিকে ২-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয় হয় আর্জেন্টিনা।
সেরা একাদশ
অ্যালিসন বেকার (ব্রাজিল), দানি আলভেজ (ব্রাজিল), থিয়াগো সিলভা (ব্রাজিল), আর্থার (ব্রাজিল), এভারটন (ব্রাজিল), হোসে মারিয়া জিমিনেস (উরুগুয়ে), মিগুয়েল তারুকো (পেরু), লিওনার্দো পারাদেস (আর্জেন্টিনা), আর্তুরো ভিদাল (চিলি), জেমস রদ্রিগেজ (কলম্বিয়া) ও পাওলো গুয়েররো (পেরু)।