হনুমান সীতাকে উদ্ধার করতে লঙ্কা পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। এখন দেশটির ক্রিকেট পুড়ছে ক্রীড়ামন্ত্রী দাইয়াশ্রী শেখরের হাতে। লাসিথ মালিঙ্গা যাকে কিছুদিন আগে বানর বলে সম্বোধন করেছিলেন।
মঙ্গলবার কর্তারা এক টেবিলে বসেছিলেন সবকিছু নতুন করে সাজানোর জন্য। কিন্তু দিন শেষে দেখা যাচ্ছে, ফলাফল আগের মতোই। সরকারি হস্তক্ষেপ থেকে বের হতে পারেনি মালিঙ্গাদের বোর্ড। নতুন নির্বাচক কমিটি ঘোষণা করতে দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী সভায় হাজির ছিলেন। তার পছন্দ মতোই সবকিছু হয়েছে। নির্বাচক কমিটির প্রধান করা হয়েছে সাবেক টেস্ট খেলোয়াড় গ্রায়েম ল্যাবরুইকে।
শ্রীলঙ্কার পরবর্তী সিরিজ আরব আমিরাতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওই সিরিজ দিয়ে কাজ শুরু করবে নতুন কমিটি।
লঙ্কানদের ক্রীড়ামন্ত্রী দাইয়াশ্রী জয়শেখরকে নিয়ে খেলোয়াড়রা খুব একটা খুশি নন। বিস্ময়করভাবে যখন-তখন ক্রিকেট দল নিয়ে মন্তব্য করে বসেন।
শ্রীলঙ্কা সম্প্রতি দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। তার আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও হারতে হয় তাদের। বাংলাদেশও লঙ্কায় যেয়ে দেশটিকে হারিয়ে এসেছে। এমন ‘ধারাবাহিক’ ফলাফলের কারণে সম্প্রতি নির্বাচক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন সনাৎ জয়সুরিয়াসহ অন্য সদস্যরা।
ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার বর্তমান কর্তাদের নিয়ে সাঙ্গাকারা থেকে শুরু করে জয়াবর্ধনে পর্যন্ত সরব। এই দুই কিংবদন্তি কোনও বিষয়ে অত সহজে মুখ খোলেন না। কিন্তু দেশের ক্রিকেটের বেহলা দশা থেকে তাদেরও এখন কথা বলতে শোনা যায়।
কয়েক দশক ধরে স্কুল ক্রিকেটই শ্রীলঙ্কার শক্তির প্রধান উৎস। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেখান থেকে আর আগের মতো খেলোয়াড় বের হয়ে আসছে না। অবকাঠামোও ভালো নেই।
ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার বর্তমান কর্মকাণ্ড নিয়ে দেশটির সাধারণ মানুষও বিরক্ত। বোর্ডের ফেসবুক পেজে আলোচনা সভার ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর নানা ধরনের ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে প্রতিবাদ জানান সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। আলোচনা সভাকে কেউ কেউ ‘পিকনিক রুম’ বলে মন্তব্য করেন!
দিলবান আরএম নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মিটিং রুমের দিকে তাকান। মনে হচ্ছে সবাই পিকনিক করতে এসেছে!’
সঞ্জয়া পেরেরা নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘কেন সাঙ্গাকরা, মুরালি, জয়াবর্ধনে, ভাসদের মতো অভিজ্ঞ লোককে বোর্ডে জায়গা দেয়া হচ্ছে না। নতুন এই কমিটি দিয়ে কোনও পরিবর্তন আসবে না।’