কৃষকের ঈদ আনন্দ ফার্মারস’ গেইম শোতে প্রতিবারের মতো এবারেও থাকছে গ্রামের কৃষক, কৃষাণীদের নিয়ে চমকপ্রদ সব খেলা। আর সাথে থাকছে দেশ বিদেশের লোকগাথা নিয়ে নানা প্রতিবেদন।
শাইখ সিরাজ বলেন, চলনবিল এলাকায় কৃষি বৈচিত্রের সাথে জড়িয়ে আছে লোকজ সংস্কৃতির বহুমাত্রিক উপকরণ। গ্রামীণ সংস্কৃতির নানা ধারা ও কৃষকের যাপিত জীবনের গল্পের বুননে সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টা এবারের কৃষকের ঈদ আনন্দ।
বালিশ লড়াই কৃষকের ঈদ আনন্দের মজার একটি খেলা। তবে এবার একটু ভিন্নতা আনা হয়েছে খেলাটিতে। খেলোয়াড়দের চোখ বেঁধে দেয়া হয়েছে। চোখ বাঁধা অবস্থায় লড়াই করাটা সত্যিই বেশ কঠিন। কিন্তু কঠিন হলেও খেলার টান টান উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছে বহুগুন।
চলনবিল এলাকায় বর্ষা মানেই চারদিকে থৈথৈ পানি। নৌকা এ অঞ্চলের কৃষকদের অতি প্রয়োজনীয় এক বাহন।বান এলেই নৌকা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। নৌকা চালানোতে এ অঞ্চলের পুরুষতো বটেই নারী-শিশু পর্যন্ত সিদ্ধহস্ত। নৌকাবাইচ আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী এক খেলা। এ খেলা চলনবিল এলাকার এসব মানুষ কাছে খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। কিন্তু নৌকা না হয়ে সেটা যদি হয় গরুকে খাবার দেয়ার চাড়ি! হ্যাঁ, কৃষকের ঈদ আনন্দের এবারের আয়োজনে রয়েছে অদ্ভুত এক খেলা চাড়ি বাইচ।
মামা-ভাগ্নের অবাক দৌড়, বল দৌড়ে কোথায় যায়, বর সাজবে বউয়ের হাতে, পাওয়ারটিলার চক্কর, তৈলাক্ত কলাগাছ বেয়ে উঠাসহ নানারকম মজারসব খেলাধুলা থাকছে এবারের কৃষকের ঈদ আনন্দে।
সাধারণত বউকে সাজায় বর। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম, বরকে সাজাবে বউ। খেলায় অংশ নেয়া এক দম্পতি জানালেন বিয়ের উনিশ বছর পর বর-বউ সাজার সুযোগ পেয়েছেন। প্রেমের বিয়ে। পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন। বর সাজা হয়নি। আবেগে আপ্লুত দুজন। আবেগ ছড়িয়ে পড়ে সারা মাঠে দর্শকের মাঝে।
খেলাধুলার পাশাপাশি আমাদের লোকজ ঐতিহ্যের নানা গল্প এবং দেশ-বিদেশের কৃষি ও কৃষককে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন থাকছে এবারের কৃষকের ঈদ আনন্দে।
শাইখ সিরাজের পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় কৃষকের ঈদ আনন্দ প্রচারিত হবে ঈদের পরদিন (১৭ জুন) বিকাল সাড়ে চারটায়। চ্যানেল আইতে।