প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন; কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না, দেশের সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের নানা চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন: এখন হাতে হাতে ঘরে ঘরে ল্যাপটপ কম্পিউটার। সব ডিজিটাল করে দিয়েছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেও এখন সবাই কম্পিউটার ব্যবহার করছে। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ফোর টায়ার ডাটা সেন্টার উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার আরেক ধাপে উন্নীত হলাম।
সমুদ্রজয়ের পেছনে জাতির পিতার নানা অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন: ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা সমুদ্রসীমা আইন তৈরী করেন। পরবর্তীতে সেই ভিত্তি ধরেই আমরা সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি।
আমরা সবচেয়ে কম টাকায় নদীপথে যাতায়াত করি। মানুষের পণ্য পরিবহনসহ সবকিছুর জন্য নদী দরকার। সারাবিশ্বের সভ্যতার দিকে তাকালে দেখতে পাবো সব সভ্যতাই গড়ে উঠেছে হয় নদীর পাড়ে না হলে সাগর পাড়ে। এদিক থেকে বলব যে আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে আমাদের দেশে এত নদী আছে।
নদী এবং নৌপথ যদি আমরা ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের শিল্পায়ন থেকে শুরু করে যোগাযোগ সবক্ষেত্রেই এগিয়ে যেতে পারবো। আমাদের দুর্ভাগ্য আগে যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা এদিকটায় ততটা খেয়াল করেনি।
জাহাজশিল্পের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন: ভবিষ্যতে আমরা বড় বড় যুদ্ধজাহাজ তৈরী করতে পারবো। রয়েছে বরগুনায় শিপইয়ার্ড তৈরীর পরিকল্পনা।
পৃথিবীর বড় বড় দেশ আমাদের কাছ থেকে জাহাজ ক্রয় করছে। নৌ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাঁচটা জাহাজ তৈরী করেছি। আজ সেগুলোই উদ্বোধন করবো। এ বিষয়ে আমরা অনেক সহায়তাও পেয়েছি।
যেসব নদী দূষণের শিকার সেগুলো দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নদীগুলো খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনারও চেষ্টা করছি আমরা।
যে চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কাপ্তাই লেকে নির্মিত ভ্রাম্যমাণ গবেষণা তরী, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ফোর টায়ার ডাটা সেন্টার, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের নতুন ৫ টি জাহাজ।