সাংবাদিক শফিক রেহমানের গ্রেফতার নিয়ে সমালোচনাকারীদের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
এক ফেসবুক পোস্টে শফিক রেহমানের গ্রেফতারে আজ যারা সমালোচনায় মুখর তাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে জয় হত্যার ষড়যন্ত্রসহ কয়েকটি ইস্যুতে শফিক রেহমানের বিতর্কিত ভূমিকা তুলে ধরেছেন তিনি।
আশরাফুল আলম খোকন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘কোথায় ছিল আপনাদের বিবেক, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের জন্য যখন শফিক রেহমান এর নাম এসেছিল। তখনতো ফেসবুক বিপ্লবী হননি। তখনতো বলেননি এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন । মার্কিন কোর্টে প্রমাণিত হবার পরও ইমরান সরকারের মত বায়বীয় অপহরণ বলে যাচ্ছেন।
কোথায় ছিল আপনাদের বিবেক, ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য শফিক রেহমান যখন লন্ডনে গিয়ে জনমত গঠনে ব্যস্ত ছিলেন। সেখানে নিজের লেখা “মৃত্যুদণ্ড :দেশে দেশে ” বইতে যখন উনি লিখেন ফাঁসির দণ্ড দিয়ে সরকার দেশটাকে মৃত্যুপুরী বানিয়ে ফেলেছে। তখনতো বিবেক জাগ্রত হয়নি?
কোথায় ছিল আপনাদের বিবেক, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের উৎসব করেছিল জামাত-বিএনপি। আর শফিক রেহমান রেডিও তেহরানে বলছিলেন এইসবই হচ্ছে প্রোপাগান্ডা। এর কোনো সত্যতা নেই। হয়তো তখনো আপনাদের বিবেকের জন্ম হয়নি।
কোথায় ছিল আপনাদের বিবেক, ২০০২ সালে একুশে টেলিভিশন বিএনপি জামাত বন্ধ করে দেয়ার যে সাংবাদিক রঙিন সুরা পার্টি দিয়েছিল তার নাম শফিক রেহমান। ২০০৬ সালে জামাত বিএনপি সরকারের শেষ মুহুর্তে সাংবাদিকদের ছয় মাসের বেতন ভাতা নিয়ে যিনি লন্ডন পালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি শফিক রেহমান। তখন কি বিবেক বন্ধ রেখেছিলেন?
শফিক রেহমান সাহেব গত ৫/৭ বছর ম্যাডাম জিয়ার বাণী লেখা ছাড়া অন্যকোন রকম সাংবাদিকতা করেছে বলে আমার জানা নেই।
আজকে অনেক বিবেক(!) জাগ্রত। বর্তমান সরকার অন্তত এই জন্য একটি ধন্যবাদ পেতেই পারে সদ্য জাগ্রত হওয়া বিবেকবানদের কাছ থেকে। কারণ শফিক রেহমানকে আটক করে সরকার তাদের বিবেক কে জাগিয়ে দিয়েছে ‘।