কয়েক মাসের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ মানুষদের মধ্যে কমপক্ষে ৬৩ জনের বিষয়ে জঙ্গি সন্দেহে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্ত করছে। এদের বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষিত, প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন এবং সময় সময় পরিবারের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আগে গ্রেফতার হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
সন্দেহভাজন নিখোঁজ জঙ্গিদের একজন এটিএম তাজউদ্দিন শিকদার। দেশের বাড়ি লক্ষীপুর হলেও প্রবাসী ছিল সে। দেশের একটি নামকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে লেখাপড়ার পর অষ্ট্রেলিয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানে কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করত। অস্ট্রেলীয়-জ্যামাইকান এক মুসলিম পরিবারে বিয়ে করে সে। ২০১৩ সালে সবশেষ দেশে এসেছিল তাজউদ্দিন।
তাজউদ্দিনের মা বলেন, ২০০৬ সালে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে তাজউদ্দিন অস্ট্রেলিয়ায় চলে যায়। সেখানে চাকরি নিয়ে বিয়ে করে এবং স্ত্রী নিয়ে বাংলাদেশে ঘুরে আবার অস্ট্রেলিয়ার চলে যায়। ২০১০ সালে হজ্জ করেছে বলেও জানান তাজউদ্দিনের মা। ২০১১ সালে তাজউদ্দিনের স্ত্রী সন্তান নিয়ে আবার বাংলাদেশে এসেছিল।
মাঝে মধ্যে বিভিন্ন নম্বর থেকে মায়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ এক মিনিট কথা বলত তবে তার অবস্থান জানতে চাইলে ফোন কেটে দিত বলে দাবি করেন তাজউদ্দিনের মা। বলেন, রমজানের দু’দিন আগে ফোন দিয়েছিল কিন্তু কোথায় আছে জিজ্ঞেস করলে আর কথা বলত না। বিভিন্ন নাম্বার দিয়ে মায়ের কাছে ফোন করা তাজউদ্দিনের মোবাইল নাম্বার ও তার স্ত্রীর মোবাইল নাম্বার বর্তমানে বন্ধ রয়েছে বলে জানান তাজউদ্দিনের মা।