একের পর এক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে কোটি রুপি জয় করে খবরের শিরোনামে স্থান করে নেন ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র বিজয়ীরা। কিন্তু এরপর তারা কোথায় যান, কী করেন, অর্থগুলোকে কীভাবে কাজে লাগান, তা থেকে যায় অজানা। ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ প্রতিযোগিতার জয়ীরা কোথায় আছেন, তা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই ফিচার:
সিজন ১১
সানোজ রাজ: গত সিজনে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জিতে নিয়েছিলেন কোটি রুপি। প্রথমে জিতেছেন সানোজ রাজ। বর্তমানে তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ববিতা টেড: কোটিপতি হওয়ার পরেও ববিতা টেড নিজের স্কুলের বাবুর্চি হিসেবে কাজ করছেন। আর পুরস্কারের অর্থ কাজে লাগিয়েছেন ব্যবসায়।
গৌতম কুমার ঝা: বিহারের গৌতম কুমার ঝাঁ পেশায় রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ার। পুরষ্কারের অর্থ দিয়ে তিনি পাটনায় বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করছেন।
অজিত কুমার: হাজিপুরের অজিত কুমার জেলের সুপারিন্টেনডেন্ট পদে চাকরি পেয়েছেন। পুরষ্কারের অর্থ দিয়ে তিনি মানুষকে সহযোগিতা করতে চান।
সিজন ১০
বিনীতা জৈন: আসামের বিনীতা ১ কোটি টাকা জিতেছেন। তিনি একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করছেন। সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য পুরষ্কারে জেতা অর্থ কাজে লাগাচ্ছেন তিনি।
সিজন ৯
অনামিকা মজুমদার: জমশেদপুরের অনামিকা একজন সমাজ কর্মী। তিনি নিজের এনজিওর কাজে লাগিয়েছেন পুরষ্কারে জেতা অর্থ।
সিজন ৮
অচিন এবং সার্থক নারুলা: সিজন ৮-এ দুই ভাই জিতেছিলেন ৭ কোটি রুপি। দিল্লীর এই দুই ভাই পুরস্কারে জেতা অর্থ তাদের মায়ের ক্যানসারের চিকিৎসায় কাজে লাগিয়েছেন। বর্তমানে তারা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন।
মেঘনা পাতিল: ক্যানসার জয়ী মেঘনা ১ কোটি রুপি জিতেছিলেন। এরপরে এই অর্থ তিনি কীভাবে খরচ করেছেন সেই ব্যাপারে আর জানা যায়নি।
সিজন ৭
তাজ মোহাম্মদ রংরেজ: পেশায় শিক্ষক তাজ। ৭ কোটি রুপি জিতে তিনি মেয়ের চোখের চিকিৎসা করিয়েছেন এবং বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও দুইজন এতিম মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ফিরোজ ফাতিমা: ১ কোটি রুপি জিতেছিলেন ফিরোজ ফাতিমা। পুরষ্কারে জেতা অর্থ তিনি পরিবারের ঋণ শোধ করতে এবং বাবার চিকিৎসায় কাজে লাগিয়েছেন।
সিজন ৬
সানমিত কৌর সোনি: সানমিত প্রথম নারী হিসেবে কেবিসিতে ৫ কোটি রুপি জিতে রেকর্ড গড়েছিলেন। তিনি ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছেন পুরষ্কারের অর্থ দিয়ে।
মনোজ কুমার রাইনা: ১ কোটি রুপি জয়ী মনোজ ভারতের রেলওয়ের কর্মী। তিনি কাশ্মীরে বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করছেন।
সিজন ৫
সুশীল কুমার: বিহারের সুশীল কুমার জিতেছিলেন ৫ কোটি রুপি। পেশায় শিক্ষক তিনি। পরিবেশ বাঁচানোর আন্দোলনের সাথে যুক্ত আছেন। হঠাৎ করে পেয়ে যাওয়া অর্থ এবং জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেননি তিনি।
অনিল কুমার সিনহা: কলকাতার ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা অনিল কুমার সিনহা জিতেছিলেন ১ কোটি রুপি। গত বছর তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন। সেখানে তিনি শিক্ষামূলক ভিডিও শেয়ার করেছেন দুটি।
সিজন ৪
রাহাত তাসলিম: মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারের রাহাত তাসলিম ভাগ্য বদলাতে কেবিসিতে এসেছিলেন। জিতেছেন ১ কোটি রুপি। পরিবারের চাপে কমবয়সেই তাকে বিয়ের পিড়িতে বসতে হয়। এরপর তিনি নিজের এলাকায় একটি গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন।
সিজন ২
ব্রজেশ দুবে: ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ব্রজেশ ১ কোটি রুপি জিতেছিলেন। সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টে দেখা যায় জীবনটা বেশ উপভোগ করছেন তিনি।
সিজন ১
হর্ষবর্ধন নওয়াথে: কেবিসির প্রথম কোটিপতি হর্ষবর্ধন। পুরস্কার জেতার পরে তিনি যুক্তরাজ্যে পড়তে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে বিয়ে করেছেন। বর্তমানে এমএনসির উচ্চপদে কর্মরত আছেন।