সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশে সরকারি চাকরিতে নিয়েগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংশোধনের বিষয়গুলো জানানো হয়।
লিখিত পরিপত্রে জানানো হয়, ৯ম (পূর্বতন ১ম শ্রেণি), ১০ম ও ১৩তম (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) গ্রেডের ক্ষেত্রে সরাসরি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৯ম (পূর্বতন ১ম শ্রেণি), ১০ম ও ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা বাতিল করা হলো। প্রজ্ঞাপনে খুব শিগগির এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলেও জানানো হয়।
কোটা সংস্কারের দাবিতে কয়েক মাস আগে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’।
প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, কোটা পদ্ধতি থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ রাখতে হাইকোর্টের রায় আছে।
পরে কোটা সংস্কার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রধান করে সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়।
গতকাল বুধবার কোটা বাতিল/পর্যালোচনা/সংস্কারের জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদে কোটা বাতিলের প্রস্তাব রেখে দেওয়া সুপারিশে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।