চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন: আলোচনার পর সিদ্ধান্ত

সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর (নবম থেকে ১৩তম গ্রেড) নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে নতুন সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রজ্ঞাপনের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। এখন প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। আমরা সারা দেশের ছাত্র সমাজকে নিয়ে আন্দোলন করেছিলাম। তাই এ বিষয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত শুক্রবার জানানো হবে।

শুক্রবার কখন জানানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও নির্দিষ্ট কোনো সময় ঠিক হয়নি। যদি হয়, তাহলে সবাইকে জানানো হবে।

যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন বলেন, প্রজ্ঞাপন নিয়ে একটা ‘কনফিউশন’ তৈরি হয়েছে। অন্যান্য সময় প্রজ্ঞাপন জারি হলে নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া থাকে। কিন্তু আজকের প্রজ্ঞাপনে কোনো তারিখের কথা উল্লেখ নেই। বলা হয়েছে, ‘অনতিবিলম্বে কার্যকর করা হবে’। এটা নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনার পর আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

এর আগে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর গত বুধবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা।

পরের দিন বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে যে কোটা ব্যবস্থা ছিল তা বাতিল হয়ে গেল।

বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জোরালো আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলন চলাকালে দুই দফায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের মারধর করে।

একপর্যায়ে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনে নামেন। পরে ছাত্রলীগও আন্দোলনকারীদের মারধর করে।

গত ২ জুলাই সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সচিবদের নিয়ে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার।

১৭ সেপ্টেম্বর কমিটি তাদের প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দেয়।

সরকারের এই কমিটি তাদের প্রতিবেদনে কোটা বাতিলের বিষয়ে বিভিন্ন যুক্তি-প্রমাণ তুলে ধরে। এই কমিটির সুপারিশ অনুমোদন করে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা।