কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র তিন নেতার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা পৃথক মামলার তদন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
তাদের করা আলাদা তিনটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
ওই তিন নেতা হলেন, মো. রাশেদ খাঁন, শাখাওয়াত হোসেন ও লুৎফুন্নাহার লুমা।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় গত বছর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ ও রমনা থানায় পৃথক মামলা হয়।
এই আইন বাতিল করে গত অক্টোবরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন–২০১৮ করা হয়। এ অবস্থায় এসব মামলায় চলা তদন্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক তিনটি রিট করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত রুল দিয়ে মামলার তদন্ত কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন।’