কোটা আন্দোলনের তিন নেতাকে রাস্তা থেকে তুলে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হলেও তাদের চোখ বাঁধা হয়নি বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন দাবি করেন তিনি।
যদিও যে তিন ছাত্রকে তুলে নেওয়া হয়েছিল তারা দাবি করেছেন, গামছা দিয়ে তাদের চোখ বেঁধে তুলে নেওয়া হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বলেন, ছাত্ররা যে দাবি করছেন, তাদের চোখ বেঁধে আনা হয়েছে, এটা ভুল বোঝাবুঝি। তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো অভিযোগও নেই। তারা মামলা প্রত্যাহার চেয়েছেন, কিন্তু সেটির সঙ্গে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসার কোনো সম্পর্ক নেই। তারা যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর ব্যাখ্যা তারাই দিতে পারবেন।
‘জাল ভিসায় চারজনকে গ্রেপ্তার’ নিয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বাতেন আরও বলেন: আন্দোলন নিয়ে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। উপাচার্যের বাসায় হামলার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত করছি আমরা। এ জন্য একাধিক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময়ে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হচ্ছে। যেহেতু হামলাকারীদের আমরা সরাসরি চিনি না, তাদের চেনার সহযোগিতার জন্য একাধিকবার ছাত্রদের এখানে ডেকে আনা হয়েছে।’
উপাচার্যের বাসা ভাঙচুরের মামলার যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সোমবার সকালে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হওয়া পাঁচটি মামলার তুলে নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়ার ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে আন্দোলনের তিন যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, ফারুক হোসেন এবং রাশেদ খাঁনকে তুলে মিন্টো রোডের কার্যালয়ে নিয়ে যায় ডিবি।
যদিও ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা দাবি করেন তাদের গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে তুলে নেওয়া হয়েছিল।