শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে কিপিং করতে দেখা যাবে না বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে। বুধবার রাতে টিম মিটিংয়ে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। টেস্ট সিরিজে মুশফিক খেলবেন শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে থাকবেন লিটন দাস। বৃহস্পতিবার কলম্বোর মোরাতুয়ায় শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেই লিটনের হাতে উঠবে কিপিং গ্লাভস। বিসিবি সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানিয়েছিলেন, কিপিং কতটা উপভোগ করেন তিনি। দলে অবদান রাখতে প্রয়োজনে বল করতেও রাজী, বলেন এমনটাও। শেষে আবার বলেন, কিপিং করবো কিনা-এটা টিম ম্যানেজম্যান্টের সিদ্ধান্ত। তখনই আভাস মিলেছিল! সেটাই সত্যি হতে যাচ্ছে।
ব্যাট হাতে ইনফর্ম মুশফিক যেন নির্ভার হয়ে আরেকটু ওপরে নেমে খেলতে পারেন সে ব্যবস্থাই করে দিয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। ছয় থেকে প্রমোশন নিয়ে চারে ব্যাট করবেন মুশফিক। বিশ্বের বড় বড় উইকেটকিপাররা ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে কিপিং ছেড়ে ব্যাটিংয়ে বেশি মনযোগী হয়ে সফলতা দেখেছেন। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান থাকার সময় কুমার সাঙ্গাকারার রানের গড় ছিল ৩৮, কিপিং ছাড়ার পর তা ৬০! আরও উদাহরণ রয়েছে এমন। সেরা ব্যাটিং সার্ভিস পেতে তাই একরকম কেড়েই নিতে হয়েছে মুশফিকের গ্লাভস। অধিনায়কত্ব, ব্যাটিং ও কিপিং একসাথে চালিয়ে যাওয়া কঠিন ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত ম্যানেজমেন্টের।
ক্যারিয়ারের ৫২ টেস্টের ৪৭টিতে বাংলাদেশ দলের মূল উইকেটকিপার ছিলেন মুশফিক। চোটের কারণে কয়েকবার বিকল্প উইকেটকিপার খুঁজতে হয়েছে। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ফতুল্লা টেস্টে প্রথম ও শেষবার কিপিং করেন লিটন দাস। কিপিং তো বটেই ব্যাট হাতেও লিটন ভালো করেন ওই ম্যাচে। অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাতে নেমে ৪৫ বলে ৪৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন লিটন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও সাত নম্বরেই নামবেন তিনি।