৬৫০ টাকার জন্য জনিকে অপমান করে ম্যানেজার বাদল। প্রেমিকা তুলতুলির সামনেই। তারপর চলে যায় তুলতুলিও। অসহায় জনি মানিব্যাগ না নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য নিজেই নিজের চুল ছিঁড়ে। ব্যবসায়ি জনি রাগী স্বভাবের। মনে মনে বলে, মাই নেম ইজ জনি! প্রতিশোধ সে নিবেই।
সেই দিনই জনি চলে যায় গ্রামে। চাচাতো ভাই বাদশা মিয়াকে দায়িত্ব দেয় ৬/৭ জন মোটা মানুষ সংগ্রহ করতে। একেক জনের ওজন যেনো তিন মনের বেশি হয়। মোটাদের ফ্রিতে ঢাকা শহর ঘোরানো হবে। আর জন প্রতি দেয়া হবে তিন হাজার টাকা!
বাদশা মিয়া করিতকর্মা মানুষ। গ্রাম খুঁজে খুঁজে নিয়ে আসে গায়েন টুক্কা সওদাগর, কৃষক বদু মিয়া,গৃহিনী ময়নার মা, বাবুর্চি কালা চান, সেতারা ভাবি, কটকটি বিক্রেতা জামাল, আর বোটকা দেলুকে। তারপর বাড়ির উঠানে কাঠের লাকড়ি মাপার দাড়িপাল্লা ফিট করে বাদশা মিয়া। জনির সামনে একে একে সবাইকে মাপা হয় দাড়ি পাল্লায় বসিয়ে। দাড়ি পাল্লার দড়ি ছিড়ে দুই বার। বোটকা দেলু, ময়নার মা খুশি হয় নিজেদের ওজন বুঝাতে পেরে!
অবশেষে সাত জন মোটা আর বাদশা মিয়াকে নিয়ে জনি রওনা দেয় ঢাকার উদ্দেশ্যে। ব্যবসায়ী ঘাড় ত্যাড়া জনির মনের ভেতর তখনও প্রতিশোধের আগুন! প্রেমিকা তুলতুলিকে ফোন করে জানায় সাত জন মোটা বাহিনী নিয়ে ঢাকার পথে সে। তুলতুলি জানতে চায়, সাতজন মোটা বাহিনী নিয়ে কী করবে? গোঁয়ার জনি উত্তরে বলে, প্রতিশোধ নিবো, মাই নেম ইজ জনি!
এই রকম একটি চিত্রকল্পের মাধ্যমে দেখা যায় বদরাগী ব্যবসায়ী জনিকে। আর সেই গল্পই এবার পর্দায় তুলে আনছেন নাট্যকার-নির্মাতা হিমু আকরাম।
নাটকের নাম ‘মাই নেম ইজ জনি’। এতে জনি চরিত্রে অভিনয় করছেন মারজুক রাসেল। আর বাদশা চরিত্রে কামাল হোসেন বাবর। বিভিন্ন চরিত্রে আরও আছেন আনন্দ খালিদ, শহীদুন্নবি, নীলা ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, মাসুদ রানা মিঠু, বিল্লু,তাসফিয়া।
গল্প প্রসঙ্গে মারজুক রাসেল বলেন, এখানে আমি জনি চরিত্রে অভিনয় করেছি। রাগী, একরোখা স্বভাবের। গ্রাম থেকে লাঠিয়াল ভাড়া করা, প্রতিশোধ নেয়া- সব মিলিয়ে চরিত্রটি বেশ মজার। মোট কথা এই নাটকের শেষ দিকে দর্শকরা অন্য একটি গল্প পাবেন। যেটা এভাবে ভাবেননি কখনও।
এদিকে নির্মাতা-নাট্যকার হিমু আকরাম বলেন, সম্পূর্ণ মজার গল্প এটি। অদ্ভুত কিছু চরিত্র নিয়েই এই নাটক। গ্রাম, শহরের সাত জন মোটা আর একজন গোঁয়ার মানুষের গল্প নিয়েই ‘মাই নেম ইজ জনি’।
ঈদের অনুষ্ঠানমালায় চ্যানেল আইয়ে প্রচারের পর এবার নাটকটি এসেছে ইউটিউবে। যেখানে নাটকটি দেখে নিজেদের ভালো লাগার কথা জানাচ্ছেন দর্শক। একজন লিখেছেন, একটু ব্যতিক্রমি নাটকটি এটি। ভালো লাগছে। সাধারণত আমরা প্রেমিক প্রেমিকার সিন দেখতে দেখতে ক্লান্ত! ব্যতিক্রমধর্মী টেলিফিল্ম দেওয়ার জন্য নাটকের কলাকুশলী সবাইকে ধন্যবাদ।
অন্য আরেকজন লিখেছেন, এই প্রথম ঈদের নাটক দেখলাম খুব ভালো লাগলো এই নাটকটা।
আগ্রহীরা দেখে নিতে পারেন ‘মাই নেম ইজ জনি’: