বহু নাটকীয়তার পর বিদায় নিতে চলা ২০২১ সালের শুরুতে বার্সেলোনা ছেড়ে যান লিওনেল মেসি। ফ্রি-এজেন্ট হয়ে পিএসজিতে যোগ দেন। অন্যদিকে জুভেন্টাসে তিন মৌসুম কাটিয়ে একযুগ আগের দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরে আসেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
বছরটি মেসির জন্য মিশ্র অভিজ্ঞতার। বার্সার হয়ে কোপা ডেল রে জিতলেও লা লিগা শিরোপা ছাড়াই স্পেন ছাড়তে হয়। আর্জেন্টিনার জার্সিতে হয়েছে তার স্বপ্নপূরণ, মহাতারকা জিতেছেন কোপা আমেরিকা শিরোপা।
গত আগস্টে পিএসজিতে যোগ দেয়ার পর মেসি ১৬ ম্যাচে করেছেন ৬ গোল। যার পাঁচ গোল করেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে, বাকিটি লিগ ওয়ানে।
রোনালদোর জন্যও বিদায় নিতে চলা বছরটি বেশ ঘটনাবহুল। জুভেন্টাসে দুটি ট্রফি জিতেছেন, কিন্তু সিরি আ জিততে ব্যর্থ। করোনার কারণে একবছর পিছিয়ে যাওয়া ইউরোয় পর্তুগাল শেষ ষোলোতে বেলজিয়ামের কাছে হেরে বাদ পড়ে।
গত সেপ্টেম্বর ৩৬ বছর বয়সী ফুটবলারের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পুরনো ক্লাব ম্যানইউতে ফিরে এসেছেন। একইসঙ্গে ইরানের আলী দাইয়িকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বাধিক গোলের বিশ্বরেকর্ড লিখেন এবছরই। সিআর সেভেন বছর শেষে জাতীয় দলের হয়ে গোলসংখ্যা নিয়ে গেছেন ১১৫তে।
সবমিলিয়ে কেমন গেল রোনালদো ও মেসির বছরটা? পরিসংখ্যান কী বলছে?
মেসি জাতীয় দলের হয়ে এবছর ম্যাচ খেলেছেন ১৬টি, গোল পেয়েছেন ৯টি এবং অ্যাসিস্ট ৫টি। মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা জয়ের সুখস্মৃতি সঙ্গী। টুর্নামেন্টে ৫ অ্যাসিস্টের পিঠে আছে ৪ গোল।
মেসির চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলা রোনালদো গোল পেয়েছেন বেশি। ১৪টি গোল করার পাশাপাশি পর্তুগাল জার্সিতে এবছর তার অ্যাসিস্ট একটি। জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা খরা থেকে গেছে।
জুভেন্টাস ও ম্যানইউর হয়ে ৫০ ম্যাচ খেলেছেন রোনালদো। যার মধ্যে গোল করেছেন ৩৩টি, অ্যাসিস্ট ছিল ৫বার। তুরিনের বুড়িদের ডেরা ছেড়ে যাওয়ার আগে কোপা ইতালিয়া ও সুপারকোপা ইতালিয়ানার ট্রফি স্পর্শ করতে পেরেছিলেন।
রোনালদোর চেয়ে ক্লাব ফুটবলে পাঁচ ম্যাচ কম খেলা মেসি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে একটি গোল বেশি (৩৪) পেয়েছেন। বার্সেলোনা ও পিএসজির হয়ে এবছর মাঠে নেমে ১৩টি অ্যাসিস্টও করেছেন। বার্সার হয়ে কোপা ডেল রে জেতা ছাড়া ক্লাব ফুটবলে আর কোনো ট্রফি জোটেনি।