মিষ্টি হাসিতে পর্দা মাতিয়ে রাখা আফসানা মিমি অনেক দিন ধরেই পর্দায় বেশ অনিয়মিত। তবে পর্দার পেছনে তার ব্যস্ততার যেন শেষ নেই। কারণ পর্দায় অনুপস্থিতির পুরো সময়টাই তিনি কাটিয়েছেন নাটকের পরিচালনা আর প্রযোজনায়। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে চ্যানেল আই ভবনে কথা হলো তার সঙ্গে। ব্যস্ত সময় আর সামনের পরিকল্পনার গল্প শোনালেন চ্যানেল আই অনলাইনকে।
কেমন আছেন?
ভালো আছি, ভীষণ ভালো।
অনেক দিন আপনাকে পর্দায় দেখা যায়নি।
হ্যাঁ। পর্দার পেছনের কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। তবে এবার ঈদে আমি পর্দায় উপস্থিত ছিলাম। একটি টেলিফিল্ম ও দুটি নাটকে অভিনয় করেছি।
নির্দেশনায় কেমন স্বাচ্ছদ্য বোধ করছেন?
ভালো লাগছে। কিন্তু মাঝে মাঝে যেন হাঁপিয়ে যাই। যখন নিজের মতো কাজ করতে পারি না। টাইট বাজেট এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন, সব মিলিয়ে আসলে হাঁপিয়ে যাওয়ার মতোই অবস্থা হয়।
সম্প্রতি আপনি একটি টেলিছবির কাজ করেছেন।
হ্যাঁ। সেটার নাম ‘রূপকথা নয়’। আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি উন্নয়ন উদ্যেগে প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের যে সাফল্য, সেই সাফল্য নিয়েই টেলিছবির গল্প। এখানে সরকারের উদ্যেগগুলো নিয়ে নানা বার্তা দেওয়া হয়েছে।
টেলিছবিটা শুধুই ম্যাসেজ নির্ভর?
না। আসলে এটা একটা পূর্ণাঙ্গ টেলিছবি। যেটাতে গল্পের ফাঁকে ফাঁকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। ৮০ মিনিটের এই টেলিছবিতে বোরিং হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আপনার স্কুলের কথা বলুন।
আমার দুটি স্কুল রয়েছে। একটি বড়দের জন্য ‘বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন একাডেমি’ অন্যটি ছোটদের জন্য ‘ইচ্ছে তলা’। এছাড়া আমার ‘গ্রিন স্ক্রিন’ নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবং ‘ড়’ নামে বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
পর্দার দিনগুলোকে মিস করেন?
ভীষণ মিস করি। সেই ১৯৯২-২০০২ টানা কাজ করেছি। মিস তো করিই।
পর্দায় আবার নিয়মিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে?
পর্দায় আবার কাজ করব। তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে এবং চ্যানেল আই অনলাইনকেও ধন্যবাদ।
ছবি: সাকিব-উল -ইসলাম