চার পেসার লেলিয়ে দিয়ে জিম্বাবুয়েকে একশর পরপরই আটকে ফেলেছে বাংলাদেশ। মিরপুরে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশের মিশনে টাইগারদের চাই ১২০ রান।
সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের বড় জয়, ৪৮ রানের হাসিতে মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বোলাররা অধিনায়কের আস্থার ভালো প্রতিদানই দিয়েছেন। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১১৯ পর্যন্ত যেতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে।
আগের ম্যাচের একাদশে তিনটি পরিবর্তনের একজন আল-আমিন হোসেন দেন ব্রেক থ্রু। এ পেসার ফেরান ওপেনার টিনাশেকে (১০ রানে), উইকেটের পেছনে মুশফিকের ক্যাচে।
পরের আঘাত আফিফের। স্পিন-অলরাউন্ডারের শিকার আরভিন। ৩৩ বলে ২৯ করে সৌম্যর তালবন্দী হন টপঅর্ডারের জিম্বাবুইয়ান।
প্রতিপক্ষ অধিনায়ক উলিয়ামসকে (৩) ফিরিয়ে পার্টিতে যোগ দেন আরেক স্পিন-অলরাউন্ডার মেহেদী। মুশফিকের গ্লাভসে স্টাম্পড হওয়ার আগে সফরকারী দলপতি করতে পেরেছেন সবে ৩ রান।
সাইফউদ্দিন পরে সিকান্দার রাজাকে (১২) আল-আমিনের ক্যাচ বানিয়ে চাপ বজায় রাখেন প্রতিপক্ষের উপর। খানিক পর আল-আমিন মুতুম্বামিকে (৩) নাঈমের তালুতে জমালে সেই চাপ বহুগুণ বেড়ে যায়।
দারুণ বল করা মোস্তাফিজও বাদ থাকেননি। টিনোটেন্ডাকে করতে দিয়েছেন মাত্র ৩ রান। নাঈমের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন টেলের ব্যাটসম্যানটিকে। একই ওভারে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন ফিজ, এবার তার বলে ওয়েসলের ক্যাচ নেন সেই নাঈমই।
তখনও একপাশ আগলে আরেক ওপেনার ব্রেন্ডন টেলর। তুলে নিয়েছেন ফিফটি। তাকে আর ফেরাতে পারেনি টাইগার বোলাররা। ৬ চার ও এক ছয়ে ৪৮ বলে ৫৯ করে অপরাজিত থাকেন টেলর।
মোস্তাফিজ ২৫ ও আল-আমিন ২২ রানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। ৩০ রানে ১ উইকেট সাইফউদ্দিনের। একটি করে উইকেট গেছে আফিফ ও মেহেদীর ঝুলিতেও। অভিষিক্ত পেসার হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য।