সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত হলেন না? এ প্রশ্ন এখন সকলের। এই প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অষ্টমবারের মতো দলীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। সে আমার ছোট ভাইয়ের মতো। শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে সে মন-প্রাণ দিয়ে এই সংগঠনকে ভালোবেসেছে, দেশকে ভালোবেসেছে। আজকে সে নিজে স্বতঃস্ফুর্তভাবে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেছে।’
এই বক্তব্যের পর নব নির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনা সভাপতিমণ্ডলীর ১৫ সদস্যের নাম প্রস্তাব করলে তাতে সমর্থন জানায় কাউন্সিল।
আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের বিকেলে আগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা করা হয় নতুন নির্বাহী কমিটি।
নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাবিত হয়। এবং সবাই সেটা সমর্থন করেন। অষ্টম বারের মতো শেখ হাসিনা পুনর্নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে। কেউ অন্য কোনো নাম প্রস্তাব না করায় তিনি পুনর্নির্বাচিত হন।
২০০৯ সালের ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে প্রথমবার সাধারণ সম্পাদক হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ২০১২ সালের কাউন্সিলে টানা দ্বিতীয়বার সাধারণ সম্পাদক হন তিনি।
আশরাফুল ইসলাম একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছাত্রলীগের সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৫ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্য তিন জাতীয় নেতার সাথে তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামকে হত্যার করা হয়। পিতার মৃত্যুর পর তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান। লন্ডনে বসবাসের সময় তিনি বাংলা কমিউনিটির বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত হন। সেসময় তিনি লন্ডনস্থ বাংলাদেশ যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
১৯৯৬ সালে সৈয়দ আশরাফ দেশে ফিরে আসেন। ওই বছরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।