অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথম দেখা গিয়েছিল বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের আগ্রাসন। প্রায়ই বল ডেলিভারির পর ব্যাটসম্যানের কাছে গিয়ে খানিকটা চোখ রাঙান। তারপর ফিরে আসেন বোলিং মার্কে। বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে আক্রমণাত্মক মেজাজের শরিফুলকেই দেখা যাচ্ছে।
পেসারদের আক্রমণাত্মক হতে হয়। তাই বলে এতটা? শরিফুল জানালেন ছোটবেলা থেকেই এই অভ্যাস তার। বল করে অজান্তেই ছুটে যান ব্যাটসম্যানের কাছে। এমন মেজাজ-মর্জি নাকি ভালো বোলিংয়ে সহায়কও হয়।
‘অ্যাগ্রেসিভ ভাবটা পজিটিভ প্রভাব ফেলে আর এটা অভ্যাস ছোটবেলা থেকে, বোলিং করে অটোমেটিক চলে যাই ব্যাটসম্যানের কাছে। আগে থেকে কোনো পরিকল্পনা থাকে না।’
চার ম্যাচের চারটিতেই জয় পাওয়া গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে নতুন বলে বোলিং করছেন শরিফুল। পরে যোগ হচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুই বাঁহাতি পেসার মিলে ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখছেন। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১২ উইকেট মোস্তাফিজের। শরিফুল তুলেছেন সাত উইকেট।
অভিজ্ঞ মোস্তাফিজের সঙ্গে জুটি বেধে বোলিং উপভোগ করছেন ১৯ বছরের তরুণ পেসার শরিফুল। জানান নিজেদের মধ্যে উইকেট দখলের মধুর প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হচ্ছে, ‘মোস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে বল করে খুবই এনজয় করছি। সবসময়ই প্রতি ওভারে যাওয়ার আগে বলের আগে ভালো পরামর্শ দিয়ে থাকে বা ম্যাচের পরে ম্যাচ সিচুয়েশন অনুযায়ী কীভাবে বল করতে পারি, কথা হয়।’
দুইজনের মধ্যেই ভালো একটা কম্পিটিশন চলছে। ওনার সাথে সব কিছু শেয়ার করা যায় উনি সবকিছু বলে সিচুয়েশন অনুযায়ী কীভাবে বল করতে হবে। খুব ভালো লাগে খুব মজা লাগে ওনার সাথে বল করতে। নতুন বলে বল করা খুবই উপভোগ করছি। কারণ সব পেস বোলাররাই চায় নতুন বলে বল করতে আর পেস বোলাররা আক্রমণাত্মক বোলিং করতে পছন্দ করে।’