চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কেন আবার মমতারই জয়

পশ্চিম বঙ্গের নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় আসবে বলে আভাষ থাকলেও এত বড় জয় মমতার পরম শুভাকাঙ্খীরাও আশা করেননি। বরং কারো কারো আশঙ্কা ছিল শেষ পর্যন্ত ‘দিদি’ না হোঁচটই খেয়ে ফেলেন। সেটাতো হয়ইনি, বরং বাম এবং কংগ্রেসের আরেকদফা ধস হয়েছে।

কেন মমতার এরকম জয়? কেন আবারো বামদের উপর মানুষের আস্থা না পাওয়া? কেনইবা কোনকিছুতেই কংগ্রেসের কোনকিছু না হওয়া? এ নিয়ে পশ্চিম বঙ্গতো বটেই, ভারতের রাজনীতি জুড়েই চলছে বিচার-বিশ্লেষণ।

নতুন ধরনের বামপন্থা
কলকাতার বিখ্যাত আনন্দবাজার পত্রিকার দাবি, পশ্চিম বঙ্গে বামপন্থা আগেও ছিল, এখনও আছে, কিন্তু সেটা সনাতন বামপন্থীদের বামপন্থা না, মমতা ব্যানার্জির নতুন বামপন্থা।

পত্রিকাটি তার সম্পাদকীয়তে বলছে: বাঙালি বামপন্থী ছিল, এবং আছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁহার মুখ্যমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় দফায় যে বামপন্থাকে ঝাড়িয়া ফেলিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন বাঙালি সেই চেষ্টাকে ভাল চোখে দেখে নাই। তাঁহাকে সরাইয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিষ্ঠা করিয়াছিল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কায়মনোবাক্যে সনাতন বামফ্রন্টের বামপন্থায় হাঁটিয়াছেন। সেই বামপন্থাই তাঁহাকে ক্ষমতায় আনিয়াছিল, সেই বামপন্থাই তাঁহাকে আরও পাঁচ বৎসরের শাসনাধিকার দিল।

অনুদানের জয়
‘ভোটের ফল বলিতেছে, তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ব্যবধানে জয়ী। আসলে জিতিল অনুদান,’ মন্তব্য করে আনন্দবাজার পত্রিকা বলেছে:  কন্যাশ্রীর সাইকেল, দুই টাকা কিলোগ্রাম দরের চাল। ১৯৮২ সালেও যেমন জিতিয়াছিল। বামফ্রন্ট সমতুল জোয়ারে ভাসিয়া ক্ষমতায় ফিরিয়াছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামপন্থীদের রাজনীতিটি কাড়িয়া লইয়াছেন। বামপন্থীরা যাহা করিতেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাহাই করেন— অনুদানের অঙ্কে তাঁহাদের আলাদা করিয়া চেনা যাইবে না।

‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়তি সুবিধা, তাঁহাকে কোনও তামাদি আদর্শের ঝুলি বহিয়া বেড়াইতে হয় না। পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গে আসিবার পূর্বে তাঁহাকে নিকারাগুয়া অথবা কিউবা ছুঁইয়া আসিতে হয় না। তাঁহার বামপন্থা ছিমছাম। তাঁহার অনুদান আছে, কিন্তু তাত্ত্বিক বুলি নাই। তত্ত্বের চর্বিতচর্বণে বাঙালির অরুচি হইয়াছে, কিন্তু অনুদানে নহে।’

পাত্তা পায়নি দুর্নীতির অভিযোগ
আন্দবাজারের বিশ্লেষণ অনুযায়ী: ভোটাররা তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকেও আমল দেন নাই। কেহ বলিতে পারেন, দুর্নীতি মূলত শহরের মধ্যবিত্ত ভোটারের মাথাব্যথা, গ্রামের ভোটার তাহা লইয়া মাথা ঘামায় না। দ্বিতীয় ব্যাখ্যা হইল, যাঁহারা অনুদানের সুফল পাইয়াছেন আর যাঁহাদের গায়ে দুর্নীতির আঁচ লাগিয়াছে, দুই গোষ্ঠী আসলে পৃথক। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের অভিজ্ঞতা বলিতেছে, তৃণমূলের সিন্ডিকেট-ভিত্তিক শোষণ হইতে কেহই বিশেষ বাদ পড়ে নাই। আচরণবাদী অর্থনীতির তত্ত্ব বলিবে, অনুদান পাইলে মানুষ খুশি হয়, সিন্ডিকেটের শোষণে মানুষ অসন্তুষ্ট হয়। সমান পরিমাণ শোষণ ও অনুদান থাকিলে অসন্তোষের পরিমাণ খুশির কম-বেশি দ্বিগুণ হইবে, ইহাই অর্থশাস্ত্রের অনুমান।

‘গ্রামে শোষণ ও অনুদানের অনুপাত কী, তাহা বলা মুশকিল— কিন্তু ভোটের ফল যদি মাপকাঠি হয়, তবে বলা চলে, খয়রাতির পরিমাণ শোষণের দ্বিগুণেরও অধিক ছিল। অর্থাৎ, রাজকোষ হইতে বঙ্গেশ্বরী যত বিলাইয়াছেন, তাঁহার অনুগামীরা তাহার অর্ধেকের কম শুষিয়া লইয়াছে। রাজকোষ নিপাত গিয়াছে, কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন তাহাতে ঠেকে নাই।’

মমতার গণভোট
প্রচারপর্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজ্যের ২৯৪টি আসনে তিনিই প্রার্থী। বিধানসভা নির্বাচনটি কার্যত সেই গণভোটেই পরিণত হয় মন্তব্য করে আনন্দবাজারের সম্পাদকীয় বলছে, যেখানে একমাত্র প্রশ্ন ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় থাকিবেন কি না। এই জয় তাঁহাকে আরও পাঁচ বৎসর শাসন করিবার অধিকার দিয়াছে। ১৯৭২ সালের পর এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গে কোনও একটি দল জোট ছাড়াই সরকার গড়িবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একটি রাজ্যে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হইলেন, যেখানকার ভোটাররা বলিয়া দিয়াছে, দুর্নীতি লইয়া তাহাদের শিরঃপীড়া নাই। দুর্নীতির ঘোড়া বেলাগাম ছুটিবে, সেই সম্ভাবনা প্রবলতর হইল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানতম দায়িত্ব এই আশঙ্কাটিকে ভ্রান্ত প্রমাণ করা। দুর্নীতির রাশ টানিয়া ধরা। হতমান বিরোধীদেরও দায়িত্ব আছে। অনুদান ও দুর্নীতির অক্ষের বাহিরেও যে রাজনীতি সম্ভব, এই কথাটি তাঁহাদের বিশ্বাস করিতে হইবে, প্রতিষ্ঠা করিতে হইবে। মার্ক্সবাদের তামাদি তত্ত্বে তাহা হইবার নহে।

নবম আশ্চর্য মমতা: সমরেশ মজুমদার
এই আনন্দবাজার পত্রিকাতেই সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার মমতার জয়ের তত্ত্ব-তালাশ করেছেন।

‘কেন মমতা এ ভাবে জিতলেন’ শিরোনামে এক নিবন্ধে তিনি বলেছেন, গত সাড়ে চার বছরে অনেক বার লিখেছি, পশ্চিমবাংলায় এবং তার আগের বাংলায় রাজনৈতিক ইতিহাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জনপ্রিয় নেতা কেউ ছিলেন না। লিখেছি, একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা এক জন নারী যে জায়গায় পৌঁছেছেন তা প্রায় নবম আশ্চর্যের বলা যেতে পারে। যে দেশের পুরুষরা তো বটেই, নারীরাও আর এক জন নারীকে পেছনে ফেলে রাখতে পছন্দ করে সেখানে কালীঘাটের এই মহিলা অবশ্যই ইতিহাস তৈরি করেছেন। এই উত্তরণকে উপেক্ষা করা মানে হল অসৎ উদ্দেশ্যে চোখ বন্ধ করে রাখা।

‘গত সাড়ে চার বছর আগে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে যখন জনমত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল তখন বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রহণ করেছিল পশ্চিমবাংলার মানুষ। সে সময় বুদ্ধিজীবীদের বড় অংশ মমতার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। নির্বাচনের ফল বের হলে দেখা গেল বামফ্রন্ট মুছে গিয়েছে। একটা কলাগাছের গায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখে দাঁড় করালে সেটাও জিতে যেত,’ বলে মনে করছেন সমরেশ।

মমতার সীমাবদ্ধতা
তিনি এও বলছেন: বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতায় এলেও গত সাড়ে চার বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক মানুষের বিরক্তিভাজন যে হয়েছিলেন তাতে সন্দেহ নেই। অত্যন্ত স্পষ্টবাদী, যিনি সাদাকে সাদা বলাই উচিত মনে করেন তাঁকেও সমস্যায় পড়তে হল। যাঁদের নিয়ে তিনি শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করছিলেন তাঁদের সম্পর্কে মানুষের ক্ষোভ জন্মাচ্ছিল। সারদা বা নারদের সঙ্গে জড়িত সেই লোকগুলোর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, এই অভিযোগ অনেকেরই ছিল। গ্রামে যেমন সুন্দর রাস্তা হয়েছে, বিভিন্ন শ্রী-প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হল তেমনই চোখের উপর পাঁচ বছর আগের বিত্তহীন বা নিম্নবিত্ত তৃণমূল নেতা বিশাল বাড়ির মালিক হয়ে যাচ্ছেন। যে কোনও অন্যায় করলেও পুলিশ যাকে সমীহ করে চোখ বন্ধ রাখছে, এঁদের কেন  মমতা শাসন করছেন না, সেই অভিমান জমা হচ্ছিল। মাঝে মাঝে ওঁর মুখ থেকে কিছু বেঁফাস কথা বেরিয়েছিল, যেমন পার্ক স্ট্রিটের ধর্ষণ কাণ্ড হওয়ার পরে, অধ্যক্ষকে মারধর করেছিল যে তৃণমূলের মধ্যবয়স্করা তাদের ছেলেমানুষ বলে এড়িয়ে যাওয়া। বিদেশে দলবল নিয়ে ব্যবসায়ী ধরতে গিয়ে খালি হাতে ফিরে এসেও প্রচার করা শিল্পের বন্যা আসছে। এগুলো মানুষ ভাল চোখে দেখেনি। অনুব্রত মণ্ডলের অসংলগ্ন কথাকে চাপা দিতে বলেছেন, ওর মাথায় অক্সিজেন কম যায়। সারের দাম কবে কমবে প্রশ্ন করাতে সাধারণ চাষিকে মাওবাদী ভেবে ক্ষিপ্ত হয়েছেন। তখন মনে হত তিনি চাপ সামলাতে পারছেন না।

‘আমার কেবলই মনে হত, তৃণমূল এমন একটা রাজনৈতিক দল যার পুরোটাই  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি যা বলবেন সেটাই শেষ কথা, এমন কোনও আদর্শ এই দলের সামনে নেই যা গৌতম দেব থেকে অনুব্রত মণ্ডল অনুসরণ করতে বাধ্য, দলের সদস্য হিসেবে তাঁরা কোনও আদর্শের কাছে নয়, ব্যক্তির কাছে মাথা নত করছেন। সেটাই ভয়ঙ্কর চাপে ফেলেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি যতই মা-মাটি-মানুযের কথা বলুন না কেন, দলের অন্যরা নিজেদের স্বার্থে এই স্লোগান ব্যবহার করেছেন। আমার বিশ্বাস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ সব জানতেন। কিন্তু ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় করতে হত। প্রথম পাঁচ বছরে সেটা সম্ভব ছিল না কিন্তু পশ্চিমবাংলার অনেক মানুষ যে এটা পছন্দ করেননি তাতে সন্দেহ নেই।’

কিন্তু বিরোধীদের অবস্থা কী ছিল?
এই সময় বিরোধীরা কী করছিল? এই প্রশ্ন তুলে সমরেশ মজুমদার বলেছেন: সারদা নিয়ে ছোটখাটো কিছু মিছিল হয়েছে, নারদ নিয়ে কোনও বড় আন্দোলনের কথা তাঁরা চিন্তা করলেন না। মানুষ দেখছিল এই সব বামপন্থী নেতা বয়সের কারণে একটু একটু করে স্থবির হয়ে যাচ্ছেন।

যে দৌড়বীর যৌবনে ম্যারাথন দৌড়ে জিততো অনায়াসে, সে বার্ধক্যে এসে যদি বলে আমি দৌড়বীর-এখনও দৌড়তে পারি তা হলে যে হাস্যকর শোনাবে তা এঁরা বুঝলেন না। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মেলাতে না পেরে আদর্শ আদর্শ করে জপ করতে লাগলেন। যদিও জানেন সেই আদর্শ মুখ থুবড়ে পড়েছে। নির্বাচন আসছে কিন্তু কেন মানুষ তাঁদের ভোট দেবে এ বিষয়ে কোনও বিশ্লেষণ করলেন না। তাঁদের ধারণা হল মমতার উপর বিরূপ হয়ে মানুষ তাঁদের আশীর্বাদ করবেন।

আর কংগ্রেস!
কংগ্রেস সম্পর্কে সমরেশ মজুমদারের বিশ্লেষণ: কংগ্রেসের অবস্থা এই পশ্চিমবাংলায় আরও করুণ ছিল। কয়েক জন মধ্যবয়স্ক বামপন্থী নেতার সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা সহমত হয়ে জোট গড়তে চাইলেন। একা যা পারা যাবে না, তা জোট বাঁধলে সম্ভব হবে। কিন্তু সেই জোট তৈরি করতে সমস্যা। আলিমুদ্দিনের বৃদ্ধরা হ্যাঁ বলতে গিয়ে ঢোক গিললেন, এত কালের শত্রুদের সঙ্গে হাত মেলাবো?

প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব ছিল না। দিল্লিতে ছুটতে হল তাঁদের। সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীকে বোঝাতে প্রচুর সময় গেল। যেই তাঁরা রাজি হলেন অমনি প্রচার শুরু হয়ে গেল নীচের তলার কর্মীদের চাপে জোট তৈরি হল। নীচের কর্মীরা যখন জোট বেঁধেছে, তখন আর বাঁধা কীসের? অথচ সেই সময় থেকে নির্বাচন পর্যন্ত আলিমুদ্দিন এক বারও বলেনি বামফ্রন্ট কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। তাঁরা কথার শাকে মাছ ঢেকেছেন। সমমনস্ক দল একত্রিত হয়েছে, এটা ঠিক জোট নয়, এটাই বলে গেছেন তাঁরা। আড়াই মাস আগে তথাকথিত যে জোট হয়েছিল তার ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা কথাও বলা হয়নি। যদি জোট জেতে তাদের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা মানুষকে জানাবার প্রয়োজন মনে করেননি। একটা গোঁজামিল সৈন্যবাহিনী তৈরি করে মূর্খস্বপ্ন দেখতে গিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র দুশো আসনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যা পরে অস্বীকার করেছেন।

মমতাই ছিল বিকল্প
সমরেশ মজুমদারের মতে, মমতার আচরণে বিরক্ত হয়ে অনেক ভোটার যে সমস্যায় পড়েছিলেন তা হল, কাকে ভোট দেবেন? জোটকে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না, যে কোনও দিন ভেঙে যেতে পারে। জোটের কোনও বিশ্বাসযোগ্য নেতা নেই। ওদের ভোট দেওয়া তাই অনিশ্চয়তাকে ডেকে আনা। দুই হাজার এগারো সালে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে মানুষ  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেয়েছিল। ষোলো সালে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে কেউ নেই। তাই মমতাকে ভোট দিলে আগামী পাঁচ বছরে সরকার ভাঙবে না। এই বিশ্বাসে মানুষ তাঁকে ভোট দিয়েছে।

‘এখন ওঁর পায়ের তলার মাটি শক্ত। এখন যদি ঝেঁটিয়ে আবর্জনা বিদায় করেন, তা হলে মানুষ তাঁকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবেই।’