ভারতের ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের কেন্দ্রীয় সরকার বিভক্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।
পাঞ্চাবের কিসান মজদুর কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি এসএস সুভ্রান বলেন, যতক্ষণ না নরেন্দ্র মোদি ৫০৭ কৃষক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন, ততক্ষণ আমরা সরকারের ডাকা কোনো আলোচনায় অংশ নেবো না।
এই আন্দোলন নিয়ে পাঞ্জাবের মূখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। এর আগে অমরিন্দর সিং বলেছিলেন, কৃষক ও সরকারের একই ধরণের চাওয়াগুলোর বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে তিনি এবং তার সরকার রাজি।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস আর পুলিশি বাধার মুখেও নিজেদের প্রতিবাদ চালিয়েই যাচ্ছে ভারতের কৃষকরা। আন্দোলনে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের কৃষকদের সমর্থনে যুক্ত হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্র প্রদেশের কৃষকরা।
নতুন আইনে ভারতে কৃষিপণ্য বিক্রয়, মূল্য নির্ধারণ ও গুদামজাত করণের নিয়মে পরিবর্তন আসবে। যে নিয়ম ভারতের কৃষকদের গত কয়েক দশক ধরে মুক্ত বাজার থেকে রক্ষা করেছে।
কৃষকরা চাইলে যে কারও কাছে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবে। আগে যা কেবলমাত্র সরকার অনুমোদিত এজেন্টদের কাছেই বিক্রি করতে হতো।
নতুন আইনে কৃষকদের স্বার্থে আঘাত আসবে আশঙ্কা থেকেই বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা।