বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ডলার আত্মসাতের বিষয়টি এখন তদন্তে সহায়তা করবে মার্কিন সংস্থা ফায়ারআইয়ের ইনক’স ম্যান্ডিয়ান্ট ফরেনসিক ডিভিশন।
এতথ্য নিশ্চিত করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। ফায়ারআই এর আগেও বেশ কিছু বড় বড় চুরির ঘটনায় তদন্ত করেছে। ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিক্স নামের যে প্রতিষ্ঠানটি ফায়ারআইকে যুক্ত করেছে। ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিক্স বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনার তদন্তে পরামর্শ প্রদান করছে।
সূত্র আরো জানিয়েছে, নিউ ইয়র্ক ফেডারেল ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে কিভাবে হ্যাকাররা টাকা চুরি হলো তার তদন্তে সহায়তা করবে মার্কিন সরকার।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে তদন্তের ফেডারেল ব্যুরো এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিভাগের অনানুষ্ঠানিক কথা হয়েছে। তবে এই ব্যাপারে কোনো কথা বলতে নারাজ নিউ ইয়র্ক ফেড। কিভাবে এই সাইবার হ্যাকাররা সেন্ট্রাল ব্যাংক নেটওয়ার্ক হ্যাক করলো, টাকা লুট করলো সেটা জানার পাশাপাশি লুট হয়ে যাওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে পুরো তদন্তদল।
প্রাথমিক তদন্তে যতদূর জানা গেছে, হ্যাকাররা প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে প্রবেশ করে। তারপর তারা সপ্তাহান্তে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভে তিন ডজনবার টাকা-ট্রান্সফারের অনুরোধ জানায় এই বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে।
তার মধ্যে চারটি গৃহীত হয়। কিছু টাকা তখন ফিলিপাইনে ট্রান্সফার করা হয়। পঞ্চমটি ট্রান্সফার করার কথা শ্রীলংকায়। সেখানেই সন্দেহ দেখা দেওয়ায় তা স্থগিত করা হয়। এরই মধ্যে চুরি যাওয়া টাকার কিছু অংশ ফেরত আনতে পেরেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত ৭ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ১০ কোটি ডলার, বাংলাদেশি টাকায় ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় বিদেশি হ্যাকাররা।