গুজব বা ভুল তথ্যে জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
শনিবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভোলায় ঘটে যাওয়া ঘটনা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে ভোলায় যে ঘটনাটি ঘটালো, আমরা মনে করি কমিউনিটি পুলিশিংয়ের প্রধান কাজ হবে- মিথ্যা, গুজব বা ভুল তথ্যে যাতে জনগণ বিভ্রান্ত না হয়। আমরা রামুতে দেখেছি, নাছিরনগরে দেখেছি, সম্প্রতি ভোলায় দেখলাম এবং অন্যান্য জায়গাতেও এর খারাপ দিক দেখেছি। এর জন্য আপনাদের কাছে আহবান, যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সেই লক্ষ্যে আপনারা কাজটি করবেন। যেকোনো তথ্য জানলে তা যাচাই করে দেখুন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা প্রতিদিন কোন না কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে যাচ্ছি। কমিউনিটি পুলিশের সহযোগিতায় পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে যাচ্ছে। এজন্য দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। সেটিও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেন।’
তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশ বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা আমরা সাজিয়েছি। পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক-জঙ্গি-সন্ত্রাস মুক্ত দেশে গড়ি এই স্লোগানে বিভিন্ন কমিউনিটি বা জনগণের সাথে মিশে গিয়ে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থা দরকার। সেই লক্ষে আমরা কাজ করছি। বর্তমানে দেশের ৮০০ জন নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য একজন পুলিশ। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যে দায়িত্ব তা জনসাধারণ পালন করছেন বলে শান্তির বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হচ্ছে। ঢাকা শহরের জনগণের তথ্য সংগ্রহ করে একত্রে রাখাটা অনেক কঠিন। এই কঠিন কাজটা অনেক দক্ষতার সাথে যে যার অবস্থান থেকে করেছেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দমনে বিট পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে বিট অফিসার পাড়া-মহল্লায় জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে সরকার কী চাই, পুলিশ কী চায়। এছাড়াও এলাকার খোঁজ-খবর রাখতে পারলে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। অচিরেই সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো।
এর আগে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৯ উপলক্ষে শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি সদর দপ্তর থেকে বের হয়ে বেইলী রোড হয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে গিয়ে শেষ হয়।