দিওয়ালি পরবর্তী দিল্লির দূষণ সূচকের মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন পুরো ভারত। অবস্থা এতটাই বেগতিক যে শুক্রবার দিল্লি ও এর সংলগ্ন অঞ্চলগুলোতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা বা ‘হেলথ ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করেছেন সেদেশের শীর্ষ আদালত। আগামী ৫ই নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এরইমধ্যে আগামী রোববার অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ভারতের বিরুদ্ধে টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে বাংলাদেশ। উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে প্রথমদিনের অনুশীলনে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান লিটন দাসের মুখে মাস্ক পরে অনুশীলনে নামার ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়।
তবে পরে লিটন জানান, দিল্লির দূষণের সঙ্গে তার মাস্ক পরে মাঠে নামার ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই, ব্যক্তিগত কারণেই তিনি মাস্ক পরেছিলেন।
সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই শুক্রবার বাংলাদেশের দ্বিতীয়দিনের অনুশীলনেও একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি। ফাস্ট বোলার আল-আমিন হোসেন, স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরি এবং হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে এদিন অনুশীলন সেশনে দূষণরোধী মাস্ক পরে দেখা যেতেই আবারও শুরু হয় জল্পনা। তবে গতদিনের মতো লিটনের সুরে সুর মিলিয়েই দিল্লির দূষণ নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্নতা দেখাননি বাংলাদেশ কোচ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডমিঙ্গো জানান, ‘আমরা সবাই জানি শেষবার শ্রীলঙ্কাকে এখানে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু সেদিক থেকে দেখতে গেলে বাংলাদেশেও এমনকিছু সমস্যা আছে। সুতরাং অন্যান্য দেশের মতো পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি। ক্রিকেটাররা খেলাতেই মনোসংযোগ করছে এবং দূষণ নিয়ে তাদের বিশেষ কোনো অভিযোগ নেই।’
একইসঙ্গে বাংলাদেশ কোচের কথায়, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। চোখ জ্বালা করতে পারে, গলায় কিছু সমস্যা হতে পারে। কিন্তু কেউ মারা যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’
তবে দিল্লির পরিস্থিতি যে একেবারেই না খেলার মতো নয় সেটাও ডমিঙ্গোর কথায় স্পষ্ট। সাউথ আফ্রিকান কোচের কথায়, ‘বাতাস নেই, ধোঁয়াশাপূর্ণ আবহাওয়া নিশ্চিতভাবেই উপযুক্ত নয়। এটা দু’দলের কাছেই সমান। তাই এ নিয়ে বিশেষ অভিযোগেরও কিছু নেই।’
দিওয়ালি পরবর্তী সময়ে দিল্লির দূষণ সূচক ৪০০ পেরিয়ে যাওয়ায় সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টি অন্যত্র সরিয়ে নিতে বিসিসিআইয়ের কাছে আবেদন করছিলেন পরিবেশবিদরা। তবে বিসিসিআই থেকে জানানো হয়, আনুষঙ্গিক নানা কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে ম্যাচ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।