একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারও দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। ওই ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার একথা বলেন।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন: নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৭ লক্ষ কর্মকর্তার প্রাথমিক নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী থেকে ৬ লক্ষাধিক সদস্য মোতায়েন করা হবে। তাদের দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও একাগ্রতার উপর বিশেষ দৃষ্টি রাখা হবে।
সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন: কোনো মতানৈক্য বা মতবিরোধ থাকলে রাজনৈতিকভাবে তা মীমাংসা করুন। প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বীতা যেন কখনো প্রতিহিংসা ও সহিংসতায় পরিণত না হয়।
সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করার বিষয়ে তিনি বলেন: নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করবেন। পোলিং এজেন্টরা ফলাফলের তালিকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটকেন্দ্র, ভোটার, প্রার্থী, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। পর্যবেক্ষকগণ নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা মেনে দায়িত্ব পালন করবেন।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৩ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৯ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ২২ নভেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন ২৯ নভেম্বর।