চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কৃষি-মৎস্য খাতে সৌদি আরবকে যৌথ সহযোগিতার প্রস্তাব

বাংলাদেশের কৃষি ও মৎস্য খাতে অর্জিত সাফল্য ও অভিজ্ঞতা সৌদি আরবের সাথে বিনিময় এবং এ দুটি খাতে একসাথে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোঃ জাবেদ পাটোয়ারী।

সোমবার  তিনি সৌদি আরবের পরিবেশ, পানি ও কৃষি বিষয়ক মন্ত্রী আবদুল রহমান আল ফাদলির সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ও পরিবেশ সুরক্ষায় বনায়ন কার্যক্রমে বাংলাদেশের দক্ষ ও অভিজ্ঞ শ্রমিকরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে রাষ্ট্রদূত জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ চাল ও সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। কৃষি ও মৎস্য খাতে বাংলাদেশের সফলতার পেছনে রয়েছে সঠিক পরিকল্পনা, গবেষণা ও দক্ষ জনশক্তি যা বাংলাদেশকে আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সহায়তা করেছে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে কৃষি ও মৎস্য খামারে কাজ করে সফলতা পেয়েছে। রাষ্ট্রদূত কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সৌদি আরবের সাথে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি প্রয়োজন সাপেক্ষে বাংলাদেশ দক্ষ কৃষি শ্রমিক প্রেরণ করবে বলে জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে সবজি ও মাছ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে সুলভমুল্যে আরো বেশি কৃষি পণ্য, মৌসুমি ফল ও মাছ আমদানির প্রস্তাব দেন তিনি। একইসাথে রাষ্ট্রদূত খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে আফ্রিকার আগ্রহী কোন দেশে সৌদি বিনিয়োগে বাংলাদেশের দক্ষ কৃষি ও মৎস্য শ্রমিক কাজ করতে পারে বলে উল্লেখ করেন, যা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সকলের জন্য লাভজনক হবে বলে জানান।

রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সৌদির বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের শ্রমিকদের অংশগ্রহণের পাশাপাশি এ বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক ও স্বাক্ষর করা যেতে পারে যাতে সৌদি পরিবেশ উপযোগী চারা নার্সারিতে উৎপাদনসহ দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন গবেষণা ও বৃক্ষরোপণ বিষয়ে কারিগরি সহায়তা বিনিময় করা যেতে পারে।

সৌদি কৃষি মন্ত্রী কৃষি, মৎস্য ও জলবায়ু সংরক্ষণে বাংলাদেশের ভূমিকা ও সফলতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের সাথে কৃষি, মৎস্য ও পরিবেশ বিষয়ে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র নির্ধারণে দূতাবাসের সাথে আলোচনা অব্যাহত রাখবেন মর্মে আশা প্রকাশ করেন।

বৈঠকে দূতাবাসের ইকনোমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান ও কাউন্সেলর মোঃ হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন।