চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

কৃষি-প্রাণিসম্পদ ও খাদ্য নিরাপত্তায় ২২ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দ

কৃষি মৎস্য প্রাণিসম্পদ ও খাদ্য নিরাপত্তা খাতে ২২ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরে ছিল ২১ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা।

‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে করোনাভাইরাসের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে টিকে থাকা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বছরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এ বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, করোনার প্রভাব মোকাবিলায় বিগত বছরগুলোর মতো কৃষিখাতে ভর্তুকি, সার বীজসহ অন্যান্য প্রণোদনা, কৃষি পূণর্বাসন সহায়তা, স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে বিশেষ কৃষি ঋণ সুবিধা প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রম এবছরও অব্যাহত থাকবে। ফসল কর্তন যন্ত্র্রপাতি ক্রয়ে কৃষকের ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে। কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারীর সংখ্যা ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ জন।

‘কৃষির জন্য জলবায়ু সহনশীল বিভিন্ন ফসলেল জাত উদ্ভাবণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আগামী অর্থ বছরে প্রায়গিক গবেষণা জোরদারকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শস্যের বহুমুখিকরণ ও সংগ্রহনোত্তর ক্ষতি কমানো কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ জোরদার করা হবে। মাণসম্পন্ন পাটবীজ উৎপাদন এবং বহুমুখি পাটপণ্যের উদ্ভাবণের গবেষণা চলমান থাকবে।’

তিনি বলেন, কৃষিখামার যান্ত্রিকীকরণে ৩ হাজার ১৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকি ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষি পূণ অর্থায়ণ স্কীম এ ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হবে। বিগত বছরগুলোর মতো আমদানি খরচ যাই হোক না কেন, আগামী অর্থবছরেও রাসায়নিক সারের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হবে ও কৃষি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।