চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কৃষিতে উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি বিকাশে ইউএসএআইডি’র নতুন প্রকল্প চালু

লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র চাষী আয়, পুষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে টিকে থাকতে ও বাজার চাহিদার তারতম্যের সাথে মানিয়ে নিতে প্রধান শষ্য চাষের পাশাপাশি অন্যান্য ফসল চাষ করছেন। যদিও এইসকল ক্ষুদ্র চাষী তাজা সবজি ও মাছের খামারের উৎপাদনের সাথে জড়িয়ে আছেন, তাদের প্রযুক্তিগত বিদ্যার অভাব রয়েছে যা তাদেরকে টেকসই আয় এর জন্য প্রয়োজনীয় মান ও পরিমান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

এই সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা (ইউএসএআইডি) ঢাকায় আয়োজিত আজকের এগ্রিকালচার ইনোভেশন সামিট-এ নতুন ফিড দ্য ফিউচার এশিয়া রিজিওনাল ইনোভেটিভ ফার্মার্স প্রকল্প চালু করেছে। উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর বাস্তবায়নে এই প্রকল্পটি খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও পরিবেশবান্ধব স্থিতিশীলতার উন্নয়ন ঘটাবে বাংলাদেশসহ এশিয়ার অনেক দেশেই কৃষি উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে।

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কৃষি বিষয়ক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিতরণের ক্ষেত্রে এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিযোগিতার আহ্বান করা হবে যা সম্ভাবনাময় নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার, অংশীদারিত্বকে সহায়তা এবং উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত “সাপ্লাই চেইনের” সকল স্তরের কৃষকের কাছে সফল প্রযুক্তি ও প্রয়োগ নিয়ে আসবে।

বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোশাররাফ হোসেন এবং ইউএসএআইডি’র ইকোনোমিক গ্রোথ অফিস ডিরেক্টর ম্যাট কার্টিস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি “টেকফরফার্মার্স চ্যালেঞ্জ” এর বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে, এটি “এশিয়া রিজিওনাল ইনোভেটিভ ফার্মার্স প্রজেক্ট”-এর আওতায় হওয়া প্রথম প্রতিযোগিতা যা বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, মায়ানমার ও নেপালের ক্ষুদ্র চাষীদের কৃষি উৎপাদন ও আয় বাড়ানোর জন্য আয়োজন করা হয়েছিল। বিজয়ী হয়েছে “ই-ফিশারি’র” স্মার্ট ফিশ ফিডার, একটি ইন্দোনেশিয়া ভিত্তিক প্রযুক্তি যা এলগোরিদম ও সেন্সরের মাধ্যমে অটোম্যাটিক ফিডিং এর সংযোগ ঘটায়, যা মাছের ক্ষুধার মাত্রা নির্ণয় করতে পারে এবং সে অনুযায়ী খাবার দিয়ে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে; এবং ইনোভেটিভ স্পিরুলিনা প্রোডাকশন, এটি একটি পদ্ধতি যেটা তৈরী করেছে থাইল্যান্ড ভিত্তিক এনারগায়া যা কিনা অল্পতেই শেওলা উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় এবং এর বায়োরিয়াক্টর দূষণ কমিয়ে যেকোনো জায়গায় স্পিরুলিনা জন্মাতে সাহায্য করে। অন্যান্য প্রতিযোগিতার মতো “টেকফরফার্মার্স” প্রতিযোগিতায় টাকায় পুরস্কার দেওয়া হয় না কিন্তু এই প্রতিযোগিতা বিজিতদের তথ্য ,ব্যবসায়িক সেবা ও যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করে স্বল্প আয়ের দেশে উদ্ভাবনী সমাধানের পথ সম্প্রসারণে সাহায্য করে।

ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য দেখুন: http://tech4farmerschallenge.ku.ac.th/

তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেন এবং বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, মায়ানমার ও নেপালে কৃষি কাজে ও মৎস্য চাষে টেকসই প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে চাচ্ছেন এমন উদ্যোক্তারা “ টেকফরফর্মার্স” প্রতিযোগিতায় আবেদন করতে পারেন। তারা নিম্নোক্ত বিষয়গুলোতে আবেদন করতে পারেন: স্মার্ট সার্ভিসেস এন্ড ইনফরমেশন, ইনোভেটিভ ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, স্টোরেজ এন্ড পোস্ট-হারভেস্ট টেকনোলজি এবং এপ্রোপ্রিয়েট লো-কস্ট টেকনোলজি।

১৯৭১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে বাংলাদেশকে ছয়’শ কোটি ডলারেরও বেশী উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করেছে। ২০১৫ সালে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে প্রায় বিশ কোটি ডলার প্রদান করেছে। ইউএসএআইডি বাংলাদেশে যে সকল কর্মসূচিতে সহায়তা প্রদান করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে– গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অনুশীলনের প্রসার, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুবিধাদির সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবার উন্নয়ন ও অভিযোজন এবং স্বল্প কার্বন উন্নয়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো।