কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশপাশি ভর্তুকী অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে
নতুন বাজেটে। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদখাতে বরাদ্দও যেমন বেড়েছে; তেমনি নীতিগত
সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বতর্মান সরকারের অষ্টম বাজেটেও কৃষিবান্ধব নীতিকৌশলের প্রভাব রয়েছে। বাজেট প্রস্তাবনায় কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন অংশে বলা হয়েছে, বিগত কর্মপরিকল্পনার কারণে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় নতুন ধরনের বৃহৎ, বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি সম্ভাবনার বিস্তারে গবেষণায় সরকার নীতিগত ও আর্থিক সহায়তা দেবে। সরাসরি ভতুর্কি না বাড়ানো হলেও এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাবও এসেছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদকে জানান, সার ও সেচ কাজে ববহৃত বিদ্যুৎ ও অনান্য কৃষি উপকরণের প্রণোদনা বাবদ ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেটে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কৃষি খাতে ভর্তুকি, স্বল্প সুদে ঋণ, উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ, সার সহজলভ্যকরণ, কৃষি বিপণন ও প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন, শস্য বহুমুখীকরণ ইত্যাদি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ৪৯৯টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ৭২৭টি কৃষি তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
কয়েকবছর ধরে বাজেটে কৃষি খাতের উপখাত মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উন্নয়নে বরাদ্দ বেড়েছে। তবে বাজেট বক্তৃতায় বরাদ্দের চেয়ে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নীতিগত সহয়াতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য ফিশিং গ্রাউন্ড চিহ্নিতকরণ, মৎস্য সম্পদের প্রজাতিভিত্তিক মজুদ নিরূপণ এবং সর্বোচ্চ সহনশীল মৎস্য সম্পদের মৎস্য আহরণ মাত্রা নির্ণয়ে আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। বিপন্নপ্রায় মৎস্য প্রজাতির সংরক্ষণ, প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধির জন্য মুক্ত জলাশয়ে অভয়াশ্রম স্থাপন এবং প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে যৌথ গবেষণা কার্যক্রমও আমরা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখব।
বাজেটে পল্লী ও নগর এলাকার যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে পরিকল্পনার পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারের পুঁজি গঠনের লক্ষ্যে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পকে সম্প্রসারনের উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী তার বাজেট প্রস্তাবনায় ।