কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে সিলেটে। কৃষি উন্নয়নে নারীর ভূমিকা সম্পর্কে জনসচেতনা সৃষ্টিতে সেখানে কাজ করছে বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন।
কৃষিতে তুলনামূলক পিছিয়ে সিলেট জেলা। এলাকার বহুসংখ্যক মানুষ প্রবাসে থাকার কারণে অনাবাদি রয়েছে বহু জমি। তার ওপর সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে কিছুদিন আগেও কৃষিতে একেবারেই অংশগ্রহণ ছিলো না নারীর। এখন অন্যান্য এলাকার দেখাদেখি নারীরাও কাজ করছেন আবাদি ক্ষেতে।
নারী কৃষকরা বলেন, আমরা বিশজন নারী মিলে একটা সংগঠন করেছি। কেউ ব্যাংকে টাকা জমা দিচ্ছি, কেউ বিভিন্ন প্রজাতির শাক সবজি আবাদ করছি। তৃণমূল পর্যায়ে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে কাজ করছে বিভিন্ন সংগঠন।
সিসিবিএ’র মাঠ কর্মী ঊষা রানী দাস বলেন, বসতবাড়ির আশেপাশে যে জায়গাগুলো খালি থাকে সেগুলোতে যেন উনারা আধুনিক প্রযুক্তিতে চাষাবাদ করে পরিবারের পুষ্টি চাহিদাটা পূরণ করতে পারে।
সিসিবিএ’র মাঠ সমন্বয়কারী হেমায়েত হোসেন বলেন, নারীদের এই কৃষি কাজে আসায় দেখা যাচ্ছে পাঁচটি লাউ বিক্রি করে যখন দুই’শ টাকা পকেটে আসছে তখন স্বামীরা স্ত্রীর কথা মূল্যায়ন করছে। তাই সকল নারীরাই পুরুষ যে রকম দুহাত দিয়ে কাজ করছে ঠিক সেইভাবে নারীরাও দু’হাত দিয়ে কাজ করছে।
রয়েছে কৃষি বিভাগের তৎপরতাও। সিলেট সদরের হাটখোলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ফজলে মঞ্জুর ভূইয়া বলেন, বিভিন্ন এনজিও এবং ইউএস এইডের প্রজেক্ট রয়েছে উনারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন, এই সিসিবিএ’র মাধ্যমে মহিলাদের কিভাবে বের করে নিয়ে আসা যায়।
অল্পদিনেই শাকসবজি ও উচ্চমূল্যের ফসল আবাদে সিলেটের নারীরাও সাফল্যের উদাহরণ গড়বে বলে আশাবাদি কৃষি বিভাগ।