কৃষক ও কৃষি খাত নিয়ে রাজনীতি না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন: সরকার ইতোমধ্যে উদ্বৃত্ত চাল রপ্তানির পদক্ষেপ নিয়েছে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক স্মরণ সভায় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ। কিন্তু এক শ্রেণীর লোক সরকারের এ সফলতা চোখে দেখে না। তারা কেবল সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সুবির নন্দীর স্মরণে এ সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন: ১৬ কোটি মানুষের এ দেশ এক সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ হলেও এখন তা খাদ্য রপ্তানির দেশে পরিণত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন: বর্তমান সরকারের গত ১০ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের কারণে দেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিভিন্ন সূচকের ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে।
সুবির নন্দীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন: সুবীর নন্দী কেবলমাত্র কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী ছিলেন না, তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন ভদ্র এবং ভালো মনের মানুষ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন: চলতি বছর দেশ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, টেলিসামাদ ও আইয়ুব বাচ্চুসহ বেশ কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছে।
তিনি বলেন: সাংস্কৃতিক চর্চা তরুণ প্রজন্মকে দেশের সুনাগরিক হতে সাহায্য করে। সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে লাইনচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন।
স্মরণ সভায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা কামাল চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বিএসজে-এর সাধারণ সম্পাদক বরুণ সরকার রানা, প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী রফিকুল আলম, এসডি রুবেল, অভিনেত্রী তারিন জাহান এবং সুবির নন্দীর কন্যা ফাল্গুনী নন্দী বক্তব্য রাখেন।