কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট আলোচনার সুপারিশ হস্তান্তর করা হয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে। তৃণমূলের কৃষকের বাজেট ভাবনার সংকলন হাতে পেয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের হয়ে একটি জাতীয় দায়িত্ব পালন করছে চ্যানেল আই। আলোচনার সুপারিশ থেকে দু’একটি বাজেটে আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
চ্যানেল আইয়ের হৃদয়ে মাটি ও মানুষের উদ্যোগ কৃষি বাজেট, কৃষকের বাজেট আলোচনা এক যুগ পার করলো। অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারো চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, মুন্সীগঞ্জ, জামালপুর, কুমিল্লা এবং নীলফামারী এই ৬ জেলায় প্রায় ১৯ হাজার কৃষকের মতামত সংকলন করে ৪৫ দফার সুপারিশমালা তুলে দেয়া হলো অর্থমন্ত্রীর কাছে।
কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর হাতে ফসল কৃষি এবং কৃষির খাত-উপখাতের সমস্যা এবং চাহিদার কথা তুলে দেন। কৃষির যান্ত্রিকীকরণ এবং ফসল ক্যালেন্ডার দেখে আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানান শাইখ সিরাজ।
কৃষি উন্নয়নে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন,‘তথ্য প্রযুক্তি অর্থাৎ আইসিটি-কে কৃষি সম্প্রসারণের কাজে আরও জোরদারভাবে ব্যবহার করা উচিৎ। একজন সম্প্রসারণকর্মীকে মাঠ পর্যায়ে ১৭’শ কৃষককে নির্দেশনা দিতে হয়। এটা বেশ দুঃসাধ্য, এখন সে যুগও নেই। কিন্তু কৃষকদের যদি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা যায় , বিশেষ করে দিনের ব্যস্ততা শেষে সন্ধ্যায় যদি তাদেরকে আনা যায় এবং আইসিটি ব্যবহার করা যায় তাহলে একই সময়ে অনেক বেশি কৃষককে প্রয়োজনীয় বার্তাটি পৌঁছে দেয়া যাবে’।
প্রতিবারের মতো এবারো অর্থমন্ত্রীর আশ্বাস, কৃষিতে বিনিয়োগ কমছে না বরং ভর্তুকি বাড়তে পারে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন,‘ আমাদের এখন কৃষিতে ভর্তুকি আরও বেশি দিতে হবে। আগে যা দিতাম তার চেয়ে বেশি দিতে হবে। এখন কৃষি পণ্যের দাম কমে গেছে। তবে খুব বেশি কম হতে দেয়া যাবে না। একটা সর্বনিম্ন দাম তো থাকতে হবে’।
নীলফামারীতে কৃষি বাজেট আলোচনায় উঠে আসা সুপারিশের আলোকে কৃষি ঋণে হয়রানি কমাতে ব্যাংকগুলোতে ঋণ প্রাপ্ত কৃষকের তালিকা টানিয়ে দেয়ার নির্দেশনা আগামী বাজেটেই থাকবে অঙ্গীকার করেন অর্থমন্ত্রী।