বাংলা নতুন বছর বা অন্য কোনো উপলক্ষ না, স্বাভাবিক হিসেবেই প্রতিদিন পদ্মায় ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রূপালী ইলিশ। শত শত ইলিশে ভরপুর পদ্মা পাড়ের ইলিশ বাজার। জেলেরা বলছেন, পর্যাপ্ত ইলিশ থাকার পরও ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন।
পহেলা বৈশাখ উদযাপন প্রস্তুতিতে বাঙালি। নতুন বছরের রসনা বিলাসে অনেকের বাজার ফর্দতেই আছে ইলিশ। তবে দামের কারণে ত্যক্ত-বিরক্ত অনেকে ইলিশকে তালিকার বাইরে রেখেছেন। আবার বাজারে ইলিশ যেমন কম, দামও তেমনি আসমান ছোঁয়া।
অথচ নদীর গল্প কিন্তু আলাদা। ঢাকা থেকে ঘণ্টা দেড়েক দূরত্বে যে মাওয়া ঘাট, ভোর হবার কিছু আগে থেকেই সেখানে ভিড়তে থাকে ট্রলার ভর্তি ইলিশ। জেল জরিমানার ভয়ে মাঝ নদীতেও সর্তক জেলেরা নয়শ গ্রামের নীচে কোনো ইলিশ নিয়ে ঘাটে আসছেন না।
প্রমাণ সাইজের ইলিশ ভোরের আগে ঘাটে আসার পর ভোর হতে হতেই ঘাট থেকে ইলিশে ইলিশে ভর্তি হয়ে যায় পদ্মা পাড়ের হৃষিপাড়া বাজার। তিন ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি-বাট্টা শেষ। আড়তদারদের মুখেও তাই চওড়া হাসি।
আড়তদাররা বলছে পদ্মায় প্রচুর ইলিশ রয়েছে। বৈশাখ মৌসুমে তারা দশ লাখ টাকা পর্যন্ত ইলিশ বিক্রি করে।
তবে পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে অসাধু ব্যসায়ীরা বেকায়দায় ফেলতে চান ইলিশ প্রেমিদের। ইলিশ ধরা বন্ধ ছিলো এমন অজুহাতে ইলিশ প্রতি ৫ হাজার টাকা চাইতেও পিছপা হচ্ছেন না তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন বৈশাখ উপলক্ষে বড় সাইজের ইলিশ পাঁচ থেকে ছয় হাজার, আর এমনিতে দেড় থেকে দুই হাজার। আরেক ব্যবসায়ী বড় সাইজের আটটি ইলিশ ৭৫ হাজার টাকা দাম হাকলেন।
আড়তদাররা বলছেন, মাওয়া ঘাটের ঋষিপাড়া বাজারের ২৯টি আড়তে প্রতিদিন সকালে মাত্র ৩ ঘণ্টায় বেচা কেনা এক থেকে দেড় কোটি টাকা। গতবারের চেয়ে এবার বিক্রিও বেশি।
মাছে ভাতে বাঙ্গালী চিরকালই ভোজন রসিক, আর সেই ভোজন রসে যদি একটু পাতে ইলিশ থাকে তাহলেতো কথাই নেই।
প্রত্যেকটি নদী মোহনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রূপালী ইলিশ।