কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় অনেকেই নতুন বছরের উৎসবে যোগ দিতে পারছেন না। ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় তাদের এমন নিরানন্দ দশা, নতুন বছরের শুরুটা বাধ্য হচ্ছেন পরিবার, পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবহীনভাবেই কাটাতে। এমন অসহায় যাত্রীর সংখ্যাটাও কিন্তু কম নয়, হাজার হাজার। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ইন্ডেপেন্ডেন্ট এমনটি জানায়।
দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে ঘন কুয়াশার কারণে বাতিল হয়েছে শত শত ফ্লাইট। হিথ্রো, স্ট্যান্সটেড এবং গ্যাটওয়িকের শিডিউলে শুক্রবার এমন বিপর্যয় বাতিল হয়েছে প্রায় ২০০ ফ্লাইট, এতে সবচেয়ে বেশি ভুগেছে ব্রিটিশ এ্য়ারওয়েজ, ইজিজেট এবং রিয়ানাইরের যাত্রীরা। তবে অন্য দুটি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ভোগান্তি কাটেনি হিথ্রো বিমানবন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীদের। আজও তাদের অসংখ্য ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
লন্ডনের বিমানবন্দরগুলোর উদ্দেশ্যে বা ছাড়ার জন্য প্রস্তুত এমন ৫০ টিরও বেশি ফ্লাইট এখন পর্যন্ত বাতিল করেছে ব্রিটিশ এ্য়ারওয়েজ, যার মধ্যে আবার ৪০টির মতো হিথ্রোতে। যাদের বার্সেলোনা, রোম এবং ইস্তাম্বুলের উদ্দেশ্যে যাওয়ার কথা ছিলো।
দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ফ্লাইট অবতরণে একটি দীর্ঘ সময় বিরতি রাখতে হচ্ছে, যা বেশ বিলম্ব ও ফ্লাইট বাতিলের কারণ বলে জানানো হয় এয়ারলাইনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে। সৃষ্ট দুর্ভোগের কারণে ক্ষমাপ্রার্থনাও করে তারা।
শিডিউল বিপর্যয় কিছুটা হলেও এড়াতে অবতরণ ও উড্ডয়নে অতিরিক্ত সময় দেয়া হচ্ছে। তবুও ভোগান্তি তেমন কমছে না। বিলম্বের কারণে কানেক্টিং ফ্লাইট মিস হওয়ার দুর্ভোগেও পড়ছেন অনেকে।
ম্যানচেস্টার থেকে জোহেন্সবার্গ যাওয়ার পথে বিলম্বের কারণে হিথ্রোতে কানেক্টিং ফ্লাইট ধরতে না পারা একজন জানান, এয়ার লাইনগুলো একে অপরকে দোষ দিচ্ছে, কেউ দায় নিচ্ছে না।