সাগরে জোয়ারের ঢেউয়ে ভেসে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতে আবারও আটকা পড়ছে শত শত মৃত জেলি ফিশ।
গত কয়েকদিন ধরে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতের একাধিক পয়েন্টে আটকে পড়া এ জেলি ফিশগুলো দেখতে ভীড় করছেন উৎসুক পর্যটক, স্থানীয় লোকজন ও জেলেরা।
জেলেরা বলেন: এর আগেও ২০১০ ও ২০১৪ সালে জানুয়ারি থেকে মার্চে এ সৈকতে এমন হয়েছিলো। তবে তা সংখ্যায় এত বেশি ছিল না।
স্থানীয় জেলেদের কাছে জেলি ফিশ সাগরের লোনা হিসেবে পরিচিত। তারা জানান, জালে জেলি ফিশ ধরা পড়লে সেই জাল পরে আর ব্যবহার করা যায় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জেলি ফিশ দলবদ্ধভাবে চলাফেরার কারণে সাগরে মৎস্য শিকারীদের জালে ধরা পড়ে। এগুলোর শরীরের ৯০ ভাগই পানি। এরা জালে একবার আটকে গেলে তা ছাড়ানো সম্ভব হয় না।
গভীর সাগরে জেলেদের জালে এসব জেলি ফিশ আটকা পড়ে মারা যেতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। অনেকে বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সাগরের এ মাছ উপকূলে এসে মরে যেতে পারে।
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা জানান: প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এ বিষয়ে তার কোনো গবেষণা না থাকায় বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
আবহাওয়াবিদরা জানান: গভীর সাগর উত্তাল হয়ে গেছে৷ জোরালো হওয়ায় সগরের গভীর থেকে সৈকতের দিকে চলে আসছে জেলি ফিশ৷
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা জানান: মৃত জেলি ফিশের কারণে পর্যটকদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য এগুলো সরিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পর্যটক ও স্থানীয়রা যাতে এসব মৃত জেলি ফিশ স্পর্শ না করে সেজন্য টুরিস্ট পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিগত বছরগুলোর ন্যায় মাইকিংসহ প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করছেন কুয়াকাটা পর্যটন শিল্পে সংশ্লিষ্টরা।