সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি চাষ করে মধু আহরণ দিন দিনই বাড়ছে কুষ্টিয়া জেলায়। উৎপাদন হচ্ছে মানসম্মত মধু, সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি বিচরণের ফলে পরাগায়নের মাধ্যমে বাড়ছে সরিষার ফলন।
কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বিত্তিপাড়ায় দু’পাশে বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেত। ওই ক্ষেতগুলোতেই বসানো হয়েছে মৌমাছি চাষের বাক্স। দলে দল মৌমাছি মধু আহরন করে বাক্সের মৌচাকে জমা করছে মধু। সেখান থেকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌয়ালরা সংগ্রহ করছেন মানসম্মত সুস্বাদু মধু।
কুষ্টিয়ার বিত্তি পাড়ার মৌ চাষী বলেন, এই মৌ খামারে কাজ করে আমার সংসার মোটামুটি ভালোই চলছে। এখানে কাজ করে আমার একটা ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া করাই। আর একজন কৃষক বলেন, মৌ চাষের ফলে জমিতে ফলন বাড়ছে আগামীতে আমরা নিজেরাই এ চাষ করবো।
শুধু কুষ্টিয়ার বিত্তি পাড়াই নয়, বড়িয়া ও পশ্চিমের ছয় জেলায় দু’ হাজার বাক্স বসিয়ে শীত মৌসুমে মৌ চাষ করেছেন চাষীরা। এ থেকে উৎপাদন হবে কমপক্ষে ৫০ টন মধু।
কুষ্টিয়ার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আসারুজ্জামান বলেন, সরিষা আবাদের পাশাপামি আমরা সরিষা বাক্সের পাশেই মৌ বক্স স্থাপন করেছি। মৌ বাক্স থেকে যেমন এখানে মধু সংগ্রহ হচ্ছে তেমনি সরিষার ফলনও ২০ থেকে ৩০ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক (কৃষি) খায়রুল আবরার বলেন, চাষীরা অনেক আগ্রহ নিয়ে এগুলো দেখছেন এবং আমার মনে হয় আগামীতে এগুলো আরো শিল্প আকারে এগুলো প্রতিষ্ঠিত হবে।
সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নিলে কুষ্টিয়ায় উৎপাদিত মধু বিদেশে রপ্তানি সম্ভব বলে মনে করে কৃষি বিভাগ।