চালের দাম কম হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন মিল মালিকরা। ঋণ খেলাপি হয়ে অনেক মিল মালিক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নিলামে তোলা হয়েছে তাদের মিল। বাজারে ভারতীয় চাল প্রবেশ করায় চালের ব্যবসায় এই মন্দা বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চালের বাজার কুষ্টিয়ার খাজা নগর। চালের মৌসুমে প্রতিদিন এখানে আড়াই থেকে তিন হাজার টন চাল বেচাকেনা হয়। সেই খাজা নগরের এবারের চিত্র ভিন্ন। কমে গেছে পাইকারদের উপস্থিতি। কমেছে চাল বিক্রিও।
চাতালগুলোতেও একই অবস্থা। প্রতিদিন যেসব চাতালে পাঁচশ’ থেকে ১ হাজার মণ ধান প্রক্রিয়াজাত হতো তা কমে দাঁড়িয়েছে তিনশ’ থেকে ছয়শ’ মণে। চালের দাম কমে যাওয়াকেই এ অবস্থার জন্য দায়ি করছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতি মণ ধান কিনতে হয় আটশ’ টাকায়। প্রক্রিয়াজাত করার পর প্রতি মণ চালের মুল্য হয় ১৫শ’ টাকা। বিক্রি করতে হচ্ছে ১৩শ’ টাকায়। ফলে প্রতি মণে ক্ষতি ২শ’ টাকা।
চাতাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, আস্তে আস্তে আমাদের চাতাল ব্যবসা মার খেয়ে যাচ্ছে। এখন এলসিতে সরকার ভর্তুকি দিয়ে ভারতের চালগুলো নিয়ে আসার পরে আমাদের চালগুলো আর চলে না।
ক্রমাগত এ ক্ষতির কারণে চালের মিল বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে অনেক মিল মালিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। বছর শেষে লাভের মুখ না দেখায় তাদের অনেকেই খেলাপী ঋণের আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
কুষ্টিয়ার মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলু বলেন, ভারত সরকার বর্ডার বন্ধ করে দিচ্ছে। আর চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে। আবার বর্ডার খুলে দিলে চালের দাম কমে যাচ্ছে। তাই যারা লোন নিয়ে ব্যবসা করছিলেন তাদের লোন শোধ করার মতো আর পরিস্থিতি নাই। তাদের অনেকে দেউলিয়া হয়ে পালিয়েছেন।
গত ৫ বছরে শুধু কুষ্টিয়ার খাজানগরেই বন্ধ হয়েছে চারশরও বেশি চাতাল।